Friday, March 21, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদম্যাক্রোঁর মন্তব্যে ‘বিভ্রান্ত’ তাইওয়ানের স্পিকার

ম্যাক্রোঁর মন্তব্যে ‘বিভ্রান্ত’ তাইওয়ানের স্পিকার

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ এপ্রিল: তাইওয়ান নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাম্প্রতিক অবস্থান ‘ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বশাসিত দ্বীপটির পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ সি-কুন।ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠাকালীন দর্শন স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের চল ‘এখন আর নেই নাকি’, খেদের সঙ্গে তিনি সে-ই প্রশ্নও ‍তুলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।চীন সফরে গিয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করা মন্তব্যে ম্যাক্রোঁ ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আর চীনের মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া’ তাইওয়ান নিয়ে যে সংকটের সৃষ্টি করছে, তাতে ইউরোপের জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সতর্ক করেন।তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পরামর্শ দেন এবং বৈশ্বিক নানান ইস্যুতে ইইউকে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের বাইরে ‘তৃতীয় মেরু’ হয়ে ওঠার আহ্বান জানান।এর প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে ফেইসবুকে দেওয়া পোস্টে তাইওয়ানের পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ সি-কুন তাইওয়ান নিয়ে ম্যাক্রোর মন্তব্য ঘিরে একটি প্রতিবেদনের ছবি দিয়ে স্বাধীনতা বিষয়ে ফরাসীদের অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

“স্বাধীনতা, সাম্য আর ভ্রাতৃত্বের কি আর চল নেই? তাহলে এবার সংবিধানের ওই অংশটুকু উপেক্ষা করলেও চলবে? নাকি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলো অন্য দেশের জনগণের জীবন-মরণকে উপেক্ষাও করতে পারে? নেতৃস্থানীয় গণতান্ত্রিক দেশের প্রেসিডেন্টের এমন কর্মকাণ্ড আমাকে ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে,” বলেছেন তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইউ সি-কুন।তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন মধ্য আমেরিকা সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি করে ফেরার পর স্বশাসিত দ্বীপটির আশপাশে সামরিক মহড়া করে নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে চীন। ওই যাত্রাবিরতিকালে সাই যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।চীন তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে; গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটির সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের পুনরেকত্রীকরণে প্রয়োজনে বল প্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে বেইজিং।

আরও অনেক দেশের মতো ফ্রান্সেরও তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই; তবে তারা তাইপেতে একটি ‘ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস’ চালু রেখেছে, তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য মিত্রদের মতো তারাও সোচ্চার।মঙ্গলবার তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ম্যাক্রোঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় ফ্রান্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তবে ফরাসী প্রেসিডেন্ট যা বলেছেন, সেদিকে ‘লক্ষ্য রাখার’ কথাও বলেছে তারা।“অনেকবার, ভিন্ন ভিন্ন আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ জানানোয় ফ্রান্সকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটা ফ্রান্সের ধারাবাহিক অবস্থান ও মনোভাবের ধারাবাহিকতা,” সাংবাদিকদের বলেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেফ লিউ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য