স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ এপ্রিল: ইউক্রেইনের লভিভের হোটেল লিওপলিস। ২০২০ সালের কোভিড মহামারীর সময়ও হোটেলটি দুই মাস বন্ধ ছিল। কিন্তু এরপর রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরে একদিনের জন্যও হোটেলটিকে ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়নি।হোটেল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এমনকি হোটেলের সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়। যে সংস্কার শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে এবং ২০২২ সালের গ্রীষ্মে তা শেষ হয়, এমন এক সময়ে যখন শহরে রুশ বিমানবাহিনী বৃষ্টির মতো হামলা চালিয়েছিল।হোটেলের মহাব্যবস্থাপক কাতেরিনা মাতিউশচেংকো বলেন, “মাস দুয়েকের জন্য আমাদের সংস্কার কাজটি বন্ধ রাখতে হয়েছিল, কিন্তু মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।”এই ইতিবাচক মনোভাবের পেছনে একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। এমনকি যুদ্ধের সবচেয়ে কঠিন সময়েও হোটেলের ৭০টি কক্ষে অতিথি থাকার হার মহামারীর সময়ের হিসাবকে পেছনে ফেলেছে।যুদ্ধের মধ্যেও পশ্চিম ইউক্রেইনে এই পর্যটন খাতের ব্যবসার রমরমা চালিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সিএনএন।এ বিষয়ে মাতিউশচেংকো সিএনএনকে বলেন, “২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির ব্যবসাও খারাপ নয়। আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো বলা চলে, বিশেষ করে ভয়াবহ হামলার হুমকি ও বিদ্যুতের যাওয়া-আসা বিবেচনায় নিলে।”
২০০৭ সালে উদ্বোধনের পর থেকে লিওপলিস পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় ঠিকানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। লভিভের পুরানো শহরের কেন্দ্রে অবস্থিতি এই হোটেলটি বার্ষিক লিওপলিস জ্যাজ ফেস্ট-এর স্পন্সর। ইউক্রেইনের সবচেয়ে বড় সাহিত্য উৎসব লভিভ বুক ফোরামের অভ্যাগতদের কাছেও লিওপলিস জনপ্রিয় ঠিকানা। ব্যবসায়ীরাও এই হোটেলে থাকতে পছন্দ করেন।হোটেলটি জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে, তবে এখন এই জনপ্রিয়তার পেছনের কারণটি আলাদা।রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে ইউক্রেইনের বেশিরভাগ অংশে যখন জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, সেখানে দেশটির পশ্চিম অংশে বিশেষ করে পর্যটন খাতে যেন উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে হোটেলগুলোর ব্যবসা রমরমা। এমনকি স্কি রিসোর্টগুলোতেও প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম।কিইভ থেকে আসা নিয়মিত অতিথিদের একজন ইগর গুট। জ্যাজ ফেস্ট উপভোগের জন্য যুদ্ধ শুরুর আগে তিনি প্রায়ই লিওপোলিসে উঠতেন। এখনও নিয়মিত অতিথি হিসেবে সেখানে অবস্থান করছেন তিনি।
ইগর বললেন, “ব্যবসায়িক আলোচনা করার জন্য তাদের অনেকগুলো আলাদা জায়গা রয়েছে এবং লভিভে সম্ভবত তারাই সবচেয়ে ভালো কনফারেন্স আয়োজনের সুবিধা দিয়ে থাকে। এছাড়া হোটেল কক্ষ এবং সেবার মানও গুরুত্বপূর্ণ।”ব্যবসার কাজে এখন হোটেলে অবস্থান করছেন ইগর। তবে ব্যবসা ছাড়াও স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা করাও তার লভিভ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। হোটেলের পুরু দেয়াল তার মধ্যে অনেকখানি নিরাপত্তাবোধ এনে দেয়।ইগর ও ফিনল্যান্ড থেকে আগত অতিথি হানা কারতুনেন, যিনি তার স্বামীর সঙ্গে ইউক্রেইনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন, দুজনেই হোটেল লিওপোলিসের বোমা থেকে আত্মরক্ষায় যে আশ্রয় কেন্দ্র, তার প্রশংসা করেছেন।
ভূগর্ভের আশ্রয় কেন্দ্র
চলমান যুদ্ধাবস্থায় ইউক্রেইনে বর্তমানে সচল সব হোটেলেরই আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। বেশিরভাগ হোটেলই তাদের গ্যারেজ অথবা অব্যবহৃত ভূগর্ভস্থ গুদামকে আশ্রয় কেন্দ্রে রূপান্তর করেছে।তবে লিওপোলিসের আশ্রয় কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে আগে ধূমপানের জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত একটি লাউঞ্জকে। ২০১৮ সালে (হোটেলে ধূমপান নিষিদ্ধ করার পর) এই লাউঞ্জটিকে অতিথিদের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান আয়োজনের একটি জায়গা হিসেবে রূপান্তর করা হয় এবং এখানে একটি ছোট শরীর চর্চা কেন্দ্রও রয়েছে।
ফিনিশ নৃত্যশিল্পী কারতুনেন বললেন, “আমি নাচের স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে বোম্ব শেলটারে থেকেছি। সেখানে স্যাঁতসেতে পরিবেশ, শ্যাওলার পচা গন্ধ, এবং সবাই চেষ্টা করছিল একটি ভালো অনুভূতি ধরে রাখতে। আমি লিওপোলিসের এই শেলটারটির কথা জানি এবং পরের বার (হোটেলের পাশেই) নাচের স্কুলের থাকার সময় আমাকে যদি আবার শেলটারে আশ্রয় নিতে হয়, আমি এখানে আসব, কারণ এটা খুবই সুন্দর।”কিইভের উত্তরাংশের বাসিন্দা গুট জানালেন, তিনি মাঝেমধ্যে কিইভের র্যাডিসন ব্লু হোটেলে থেকেছেন। এখন তিনি ওই হোটেলেই থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন যেহেতু সেখানে থাকলে সামজিকতার একটা সুযোগ পাওয়া যায়।তিনি বললেন, “আপনি সবসময়ই কাউকে না কাউকে পাবেন সেখানে। সত্যি কথা বলতে কী, আমি এখন বাসার চেয়ে ওই হোটেলেই বেশি থাকার চেষ্টা করি, কারণ বাড়িতে আমি একা। হোটেলের পরিবেশ কিছুটা হলেও মানসিক শান্তি দেয়, কারণ আপনি সেখানে সবসময়ই সঙ্গী পাবেন।”ইউক্রেইনের বুকোভেল স্কি-রিসোর্টও যুদ্ধের মধ্যে পুরোদমে চালু। কারপেথিয়ান পর্বতমালায় অবস্থিত এই স্কি-রিসোর্টে স্কি ছাড়া অন্য কারণেও আন্তর্জাতিক অতিথিদের আনাগোনা রয়েছে, বিশেষত ভিসা নীতিমালা শিথিল থাকার কারণে।
এডেম হোটেল গ্রুপের সিইও ওলেকসি ভোলোশিন বললেন, “২০২১ সালে আপনি যদি এই রিসোর্টে প্রবেশ করতেন, তাহলে আপনার মনে হতে পারত আপনি দুবাইয়ে আছেন।”লভিভের ৮০ কক্ষ বিশিষ্ট এডেম রিসোর্ট এবং বুকোভেলের এই হেই বুটিক হোটেল অ্যান্ড স্পা বাই এডেম ফ্যামিলিও এডেম হোটেল গ্রুপের অংশ।ইগর জানালেন, তিনি এখন বাসায় একা থাকার চেয়ে হোটেলে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।যুদ্ধ শুরুর আগে এডেম রিসোর্টের ‘ওয়েলনেস ভেনু’গুলোর ৩০ শতাংশ অতিথি ছিলেন ইউক্রেইনের বাইরের দেশ থেকে অভ্যাগতরা। কিন্তু এখন সব অতিথিই ইউক্রেনের। এখনে ইউক্রেইনীয়রা আসছেন যুদ্ধ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আশায়। সেটা সামান্য কয়েক দিনের জন্য হলেও আপত্তি নেই।
ইউক্রেইনের হোটেল ও লজিং অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভোলোশিন বললেন, “আবার লড়াইয়ের মাঠে নেমে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেইনীয়দেরও তাদের দেহ ও মনকে চাঙা করতে হয়। এখন প্রত্যেকেই একজন যোদ্ধা, ভিন্ন ভিন্ন রণক্ষেত্রে।”এডেম গ্রুপ ২০২২ সালের মে মাসে রাজধানী কিইভে তৃতীয় একটি রিসোর্ট খোলার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু যুদ্ধের একদম শুরুতেই শহরটি আক্রান্ত হওয়ায় এবং গত বছর জুড়ে থেমে থেমে সেখানে হামলা চলায় এর উদ্বোধন পিছিয়ে যায়। হোটেলের কাজ এখন শেষ হয়েছে এবং গ্রীষ্মে তা উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
পারিবারিক পুনর্মিলন
ইউক্রেইনের পর্যটন খাতে একটি নতুন সংযোজন হচ্ছে পুনর্মিলনী। যেসব পরিবার দেশের বিভিন্ন শহরে বা অন্য দেশে অবস্থান করছে, তাদের জন্য কারপেথিয়ান পর্বতমালার এসব রিসোর্ট ও পশ্চিম ইউক্রেইনের অন্যান্য হোটেলগুলো পুনর্মিলনের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠছে।ইউক্রেইনের পর্যটন বাজারের টিকে থাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত সম্ভবত খাপখাইয়ে নেওয়ার সামর্থ্য।হোটেলগুলো তাদের গ্যারেজ ও লাউঞ্জগুলো যখন বোমা বর্ষণকালীন আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করেছে, তখন লভিভ ট্যুরিজম অফিসও বসে নেই, এই কার্যালয় এখন বিদেশি গণমাধ্যমগুলোর জন্য মিডিয়া সেন্টারে পরিণত হয়েছে বলে জানালেন এর প্রধান খ্রিস্টিনা লেবেদ। তিনি বলেন, “[২০২২ সালে] বিদেশি গণমাধ্যমের প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধি নিবন্ধন করেছেন।”চলমান যুদ্ধের কারণে দেশের অভ্যন্তরে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের অনেকেও হোটেলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।সাধারণভাবে ইউক্রেইনের পশ্চিমাংশের শহরগুলো দেশের অন্য অংশের তুলনায় নিরাপদ হওয়ায়, অনেকেই পালিয়ে লভিভে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ ওইসব পালিয়ে আসা নাগরিকদের স্বাগত জানিয়েছে এবং তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।।
খ্রিস্টিনা লেবেদ জানালেন, যুদ্ধ শুরুর পরে গত বছরের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত ইউক্রেইনের ট্রাভেল কোম্পানিগুলোর কাজ ছিল না। কিন্তু গ্রীষ্মে তারা লভিভ ও জাকারপাতিয়া অঞ্চলে এবং বিদেশে শিশুদের জন্য ক্যাম্প আয়োজন করা শুরু করে।স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধ শুরুর পর কর্মহীন হয়ে পড়েন স্থানীয় ট্যুর গাইডরা। লেবেদ বলেন, “গাইডেড ট্যুরের চাহিদা দারুণভাবে কমে গিয়েছিল। এখন অবশ্য পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদেরকে স্থানীয় দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরিয়ে দেখানো এবং এই শহর সম্পর্কে জানানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।”অনেক জাদুঘরও খোলা রাখা হচ্ছে এবং তারাও যুদ্ধ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করছে। লেবেদ বলেন, “অনেক প্রদর্শনীর অনুপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও জাদুঘরগুলোতে নতুন শোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে, বিশেষ করে শিল্পীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। অনেকের জন্যই [জাদুঘরে ঘুরতে আসা] এক ধরনের ‘থেরাপি’ হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া ইউক্রেইন ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগ্রহও বাড়ছে।”
পর্যটন শিল্পকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং এর কর্মীদের পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি, দেশের বাকি নাগরিকদের মতো, এই খাতের কর্মীরাও এই চলমান যুদ্ধে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সম্পদ ব্যবহার করে চলেছেন।যুদ্ধে বাস্তুচ্যুতদের খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে লভিভের হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি। হোটেলগুলো বিনামূল্যে থাকার জায়গার ব্যবস্থা করছে। রেস্তোরাঁগুলো থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। জাদুঘরগুলো ইউক্রেইনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরার কাজ করে যাচ্ছে।এডেম ফ্যামিলি হোটেল গ্রুপের রিসোর্টগুলো একাধারে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত রিসোর্ট হওয়ায়, তারা যুদ্ধে আহত সেনাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কাজটি করে চলেছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যোদ্ধাদের মানসিক ও শারীরিক শক্তি দ্রুত ফিরে পাওয়ার চেষ্টা হিসেবে তাদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া যুদ্ধে সেনাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের জন্যও কাজ করছে এডেম গলফ ক্লাব।
ধ্বংসস্তূপে নতুন আশা
পর্যটন খাতে কর্মরতদের অনেকের জন্যই যুদ্ধ ব্যক্তিগত ক্ষয়ক্ষতি বয়ে এনেছে। অনেকেই ঘর, কাজ ও পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন। নিজেদের কয়েকজন সহকর্মীর বিষয়ে বলতে গিয়ে এদেম সিইও আবেগ সামলে রাখতে পারছিলেন না।তিনি বললেন, “আমাদের রেস্তোরাঁর একজন ওয়েটারকে আমরা হারিয়েছি। তিনি একজন সৈনিক ছিলেন এবং যুদ্ধে মারা গেছেন। আমাদের আরেক সহকর্মী এখনও নিখোঁজ। তিনিও যুদ্ধে ছিলেন।“আমাদের কর্মীরা যুদ্ধের ময়দানে থাকার সময় আমরা তাদের সঙ্গে দৃঢ় যোগাযোগ বজায় রাখতে চেষ্টা করি। আমরা তাদের চিঠি লিখি এবং ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। তাদের দরাকারি জিনিসপত্র কিনে পাঠাই এবং তাদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখি।”
প্রতি সেপ্টেম্বরে ইউক্রেইনে পর্যটন দিবস উদযাপন করা হয়।লেবেদ বললেন, “এই দিবস উদযাপন করা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমরা দিবসের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেই। রুশ সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরগুলোর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও খাবার নিয়ে লভিভে আলোচনা করার জন্য ওইসব শহরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেই আমরা।“এটা ছিলো দারুণ একটি উদ্যোগ! সব ইউক্রেনীয়রা একটি জায়গায় একত্রিত হয়। আমরা আজভ সাগরের ঢেউয়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম, ক্রিমিয়ার বাকলাভার স্বাদ নিচ্ছিলাম, খারকিভ-স্টাইলে স্কার্ফ পরছিলাম। সেটা ছিল অসাধারণ একটি দিন। লভিভে থেকেই আমরা যেনো পুরো ইউক্রেইন ঘুরে এসেছি।”
ভবিষ্যতের দিকে তাকলে ইউক্রেইনের পর্যটন খাত অনেক আশা নিয়ে বসে আছে। ফ্লাইট চলাচল শুরু হলে পর্যটন খাতের লোকজনের প্রত্যাশা ব্যবসায়ী, সামরিক বাহিনীর লোকেরা ও নির্মাণ কাজে জড়িতরা দ্রুত সেখানে পৌঁছাবে।অবকাশকালীন পর্যটন স্বাভাবিক হলে, পর্যটকদের দেখানোর মতো প্রচুর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত স্থাপনা ও চিহ্ন থেকে যাবে। যুদ্ধের বিয়োগান্তক ও নিষ্ঠুর অধ্যায়গুলো পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে পারবেন ট্যুর গাইডরা।এই খাতে সংশ্লিষ্ট অনেকেই আশা করেন কৌতূহল থেকেই অনেক মানুষ ইউক্রেইন ভ্রমণে আসবে, যেহেতু তারা এখন এই দেশ ও এর ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা হলেও জেনে গেছে।ইউক্রেইনীয়রা বলছেন, তারা ওই দিনের অপেক্ষায় আছেন যেদিন তারা কার্পেথিয়ান পর্বতমালার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তাদের সুস্বাদু খাবার, এবং যুদ্ধ করে ধরে রাখা ঐতিহ্য বিশ্ববাসীর সামনে উন্মুক্ত করে দিতে পারবেন।