Thursday, March 28, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদপুতিনের যুদ্ধ কি ব্যর্থ হচ্ছে? রাশিয়া কী চাইছে?

পুতিনের যুদ্ধ কি ব্যর্থ হচ্ছে? রাশিয়া কী চাইছে?

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৪ ফেব্রুয়ারি: ভ্লাদিমির পুতিন যখন গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে দুই লাখ সেনা পাঠান, তার ধারণা ছিল তিনি দিন কয়েকের মধ্যেই প্রতিবেশী দেশের রাজধানী কিইভের কর্তৃত্ব নিয়ে নেবেন আর সেখানকার সরকারকে উৎখাত করতে পারবেন।কয়েকদফা অপমানজনক পিছু হটার পর বোঝা গেল তার প্রাথমিক সেই পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে, কিন্তু রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ হতে এখনও অনেক বাকি।ইউক্রেইন যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে যুদ্ধের নানান দিক তুলে ধরা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

পুতিন কেন আক্রমণ করল?

এখনও, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধকে ‌‌‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে যাচ্ছেন। পুরোদস্তুর যুদ্ধ না হলেও এতে ইউক্রেইনজুড়ে বেসামরিকদের ওপর সমানে বোমা হামলা হয়েছে এবং দেশটির এক কোটিরও বেশি মানুষকে নিজ দেশের ভেতরে এবং বাইরে শরণার্থী হতে বাধ্য করেছে।২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযানে নামার সময় পুতিন যেসব লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন, তার মধ্যে ছিল ইউক্রেইনকে ‘নাৎসিমুক্ত ও অসামরিকীকরণ’ করা, জোর করে দেশটি দখল করা নয়। তার আগেই তিনি রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা ইউক্রেইনের অঞ্চলগুলোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়ে দেন।ওই অঞ্চলগুলোতে ২০১৪ সাল থেকে যুদ্ধ চলছিল। পুতিন ৮ বছর ধরে চলা যুদ্ধে ওই অঞ্চলগুলোর রুশপন্থিদের ইউক্রেইনের হামলা ও বুলিংয়ের হাত থেকে বাঁচানোর অঙ্গীকার করেন- রাশিয়ার এই দাবি অবশ্য কিইভ ও তার মিত্ররা মানছে না।পুতিনের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে- ইউক্রেইনে নেটোতে জায়গা না দেওয়া, এবং ইউক্রেইনের ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান নিশ্চিত করা।

প্রেসিডেন্ট পুতিন কখনও জোর গলায় না বললেও, ইউক্রেইনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারকে উৎখাত করাই তার অগ্রাধিকার তালিকায় ছিল বলে মনে করে পশ্চিমারা।“শত্রুরা আমাকে তাদের প্রথম লক্ষ্য ঠিক করেছে, আমার পরিবার তাদের দ্বিতীয় লক্ষ্য,” বলেছিলেন জেলেনস্কি। তার উপদেষ্টার দাবি, রুশ সেনারা ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে দুইদফা হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল।রাশিয়ার ভাষ্য, ইউক্রেইনের নাৎসিরা রুশভাষী অঞ্চলগুলোতে গণহত্যা চালাচ্ছে। এই দাবির বিশ্বাসযোগ্য কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি।রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তি পরে ব্যাখ্যা করে বলেছে, রাশিয়ার যে লক্ষ্য ‘নাৎসিমুক্ত করা’ তা শেষপর্যন্ত ‌‘ডি-ইউক্রেইনাইজেশনই’ হয়ে যাচ্ছে, যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে- আধুনিক ইউক্রেইনকে মুছে ফেলা।অনেক বছর ধরেই, রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতেও নারাজ। ২০২১ সালের এক নিবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, রুশ আর ইউক্রেইনীয়রা নবম শতক থেকেই আদতে একই জনগোষ্ঠী। 

পুতিনের লক্ষ্য বদলালো কীভাবে?

অভিযান শুরুর মাসখানেক পর, রুশ সেনারা কিইভ ও চেরনিহিভ থেকে পিছু হটার পর, লক্ষ্য পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন পুতিন। এবার লক্ষ্য ঠিক করেন- ‌‘দনবাসের মুক্তি’। দনবাস হচ্ছে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি শিল্পাঞ্চল লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক।

পরে উত্তরপূর্বের খারকিভ ও দক্ষিণের খেরসন থেকেও রুশ সেনারা পিছু হটে, তবে রাশিয়ার লক্ষ্য পাল্টায়নি। এরপর থেকে মস্কোবাহিনীও খুব বেশি সফলতা দেখাতে পারেনি।যুদ্ধক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতিতে পুতিন ইউক্রেইনের চারটি প্রদেশকে রাশিয়ার ভূখণ্ডভুক্ত করে নেন, যদিও লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও দক্ষিণের জাপোরিঝিয়া, এই চার প্রদেশের কোনোটিই এখন পর্যন্ত পুরোপুরি তার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে যায়নি।যুদ্ধক্ষেত্রে মার খাওয়া রাশিয়া গত বছরের শেষদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো সৈন্য সমাবেশেরও ঘোষণা দেয়, এই আংশিক সৈন্য সমাবেশে রাশিয়া তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে বাহিনীতে যুক্ত করার কাজ শুরু করে।

‌এখন ইউক্রেইনের সাড়ে আটশ কিলোমিটার লম্বা ফ্রন্ট লাইনে চলছে ‘ক্ষয়ের যুদ্ধ’, আর রাশিয়ার জয়ও হয়ে গেছে বিরল।যেখানে রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল দ্রুত অভিযান শেষ করা, সেখানে যুদ্ধ অনেক লম্বা হবেই বলে মনে হচ্ছে, যে যুদ্ধে ইউক্রেইনের জেতা উচিত বলে মনে করেন পশ্চিমা নেতারা।এ কারণে, ইউক্রেইনের ‌‘নিরপেক্ষতা’ এখন অনেক দূরের বলেই মনে হচ্ছে।প্রেসিডেন্ট পুতিনও ডিসেম্বরে সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ ‌‘দীর্ঘ হতে পারে’, কিন্তু এটা শেষ করতে হবে। সেটার সম্ভাবনাও দৃশ্যত ক্ষীণ।যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে তিনি বলছেন, রাশিয়া লড়ছে তার ‌‘ঐতিহাসিক ভূখণ্ডের’ সুরক্ষায় এবং দনবাস ও নভোরাশিয়ায় শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন পুনরায় ফেরানো, যার অর্থ হচ্ছে কেবল ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলই নয়, দক্ষিণের অনেক এলাকা কব্জা করাও তার লক্ষ্য।

কতটুকু পারল রাশিয়া?

এখন পর্যন্ত পুতিনের বড় সাফল্য হল, ২০১৪ সালে দখল করা ক্রাইমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার স্থলসীমান্তের মধ্যে ‌‘ল্যান্ড ব্রিজ’ প্রতিষ্ঠা করা। এর ফলে তাদেরকে আর কেবল কের্চ প্রণালীর ওপর থাকা সেতুর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না। সে কারণে তিনি এখন মারিউপোল ও মেলিটোপোলের মতো এলাকা দখলকে ‌‘রাশিয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য সফলতা’ বলছেন।কের্চ প্রণালীর ভেতর থাকা আজভ সাগর ‌‘এখন থেকে রাশিয়ার নিজস্ব সাগর’, বলেছেন তিনি। এই সেই এলাকা, যা কখনও রাশিয়ার জার পিটারও দখলে নিতে পারেননি।

রাশিয়া কি যুদ্ধে হারছে?

ক্রাইমিয়ার সঙ্গে করিডোর বানানো ছাড়া রাশিয়া এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে বলার মতো কিছু অর্জন করতে পারেনি। কেবল বর্বরতা আর রুশ সেনাদের অদক্ষতা ছাড়া কিছু দেখতে পাচ্ছে না পশ্চিমারাও।মারিওপোলের মতো অনেক শহর মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার পাশাপাশি কিইভের কাছে বুচার মতো এলাকাগুলোতে যুদ্ধাপরাধের আলামত পাওয়া যাচ্ছে।কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ফ্ল্যাগশিপ যুদ্ধজাহাজ মস্কোভার ডুবে যাওয়াকে রাশিয়ার বড় ধরনের ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।রাশিয়া ইউক্রেইনকে অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে পশ্চিমাদের বারবার সতর্ক করলেও তা কেউ কানে নেয়নি, যুক্তরাষ্ট্রসহ এর মিত্ররা ইউক্রেইনকে ‌‘যতদিন লাগে ততদিন’ অস্ত্র দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বলেছে, নেটোকে কখনওই বিভক্ত করা যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের হিমারস ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের মোড় পরিবর্তনে খানিকটা ভূমিকা রেখেছে, জার্মানি লেওপার্ড ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত পশ্চিমা যুদ্ধবিমানের প্রতিশ্রুতি আসেনি। জো বাইডেনসহ অনেক নেতা ইউক্রেইনের প্রতি তাদের সমর্থন জানাতে ঝঞ্ঝাবিহ্ববল পথ পাড়ি দিয়ে কিইভও সফর করেছেন।কিন্তু যুদ্ধ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। দনবাসে যুদ্ধ চলছে। এই বছর রাশিয়া সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে; পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে যাওয়ার রাস্তায় থাকা পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত এবং গত শরতে হারানো এলাকাগুলোও কিছুদিনের মধ্যে দখলে নেওয়ার আশা করছে তারা।তবে এ এলাকাগুলোর দখল পেতে পুতিনকে যুদ্ধ আরও লম্বা দিন চালাতে হবে, এবং হয়তো আরও সৈন্য সমাবেশ করতে হবে বলে ধারণা অনেকের।রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতেও যে তারা প্রস্তুত, তাও বলছে তারা।আর কিইভ বলছে, কেবল ইউক্রেইনই নয়, রাশিয়া মলদোভার ইউরোপপন্থি সরকারকেও উৎখাত করতে তৎপর। ইউক্রেইন সীমান্তে অবস্থিত মলদোভার ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় রুশ শান্তিবাহিনী আছে।

কত রুশ সেনা মরেছে?

রাশিয়া বা ইউক্রেইন কেউই তাদের হতাহতের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের নিহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা অনেকের।বিবিসি রাশিয়া যুদ্ধের প্রথম বছরে রাশিয়ার নিহত ১৪ হাজার ৭০৯ সেনাকে শনাক্ত করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা অন্তত এর দুই গুণ হবে বলে তাদের বিশ্বাস। আহতের সংখ্যা এক লাখেরও বেশি, অনুমান তাদের।    যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, রাশিয়ার হতাহতের সংখ্যা পৌনে দুই থেকে দুই লাখ, এর মধ্যে মৃত্যু ৪০ থেকে ৬০ হাজার।ইউক্রেইন ২০২২ সালের শেষদিকে তাদের ১০-১৩ হাজার সেনা মারা পড়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, নভেম্বর পর্যন্তই ইউক্রেইনে হতাহতের সংখ্যা এক লাখের মতো।গত গ্রীষ্মে ইউক্রেইনে পশ্চিমা গোলা পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত কিইভের কর্মকর্তারা প্রতিদিন যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের এক থেকে দুইশ সেনা নিহত হচ্ছে বলে জানাতেন।জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার সম্প্রতি বলেছেন, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ হাজার ৬ জন বেসামরিক মারা পড়েছে, যদিও প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

পুতিনের কোনো ক্ষতি হয়েছে?

৭০ বছর বয়সী পুতিন তার সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতা থেকে নিজেকে আলাদা করে দেখাতে চাইছেন, কিন্তু তার প্রশাসন, বিশেষত দেশের বাইরের অংশটুকু অনেকটাই ম্রিয়মান, পুতিনও এখন পর্যন্ত দেশের সীমানার বাইরে খুব বেশি বের হননি।যুদ্ধের কারণে পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাদের অর্থনীতি এখন পর্যন্ত খুব খারাপ নয়, তবে তার বাজেট ঘাটতি বেড়েছ, গ্যাস থেকে আয়ও অনেক কমেছে।তবে এরপরও দেশের ভেতর পুতিনের জনপ্রিয়তা অনেক বলে বিভিন্ন জরিপ বলছে, তার বিরুদ্ধে কারও অবস্থান নেওয়াটাও বেশ কঠিন।রাশিয়ায় ভিন্নমত দেওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কেউ রুশ সেনাদের নিয়ে ‌‘ভুয়া খবর’ দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিরোধীদের কেউ দেশ ছেড়েছেন, মূল বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মতো অনেকে জেলখানায়।

পশ্চিমে হেলে পড়েছে ইউক্রেইন

এই যুদ্ধের বীজ বপিত হয়েছিল, যখন মস্কো ইউক্রেইনের রুশপন্থি প্রেসিডেন্টকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা থেকে সরতে বাধ্য করে। এর প্রতিক্রিয়ায় হওয়া বিক্ষোভে ওই প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়। পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেইনের সেনাদের লড়াই শুরু হয়।রাশিয়া অভিযান শুরুর চার মাসের মধ্যে ইউরোপ ইউক্রেইনকে প্রার্থী সদস্যপদ দেয়; কিইভ এখন পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদের জন্য জোর চাপ দিচ্ছে।রাশিয়ার দীর্ঘ সময়ের নেতা পুতিন ইউক্রেইনকে নেটোর বলয়ে ঢোকা আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি যুদ্ধ শুরুর দায়ও নেটোকে দিচ্ছেন, কিন্তু তার এই চেষ্টা হালে পানি পাচ্ছে না।যুদ্ধ শুরুর আগে ইউক্রেইন নাকি নেটোর বাইরে থাকতে চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি হয়েছিল বলে অনেক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মার্চে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেইন যে কোনো জোটের বাইরে এবং পারমাণবিক অস্ত্রহীন রাষ্ট্র হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

যুদ্ধ কীভাবে শেষ হবে?

দৃশ্যত, এর শেষ দেখা যাচ্ছে না।ইউক্রেইনের অবস্থান হচ্ছে, যে কোনো শান্তিচুক্তির জন্য রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেইনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমানা থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। রুশ অভিযান শুরুর ৫দিন পর, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত এক ভোটে তাদের পক্ষে ১৪১টি দেশ সমর্থনও দিয়েছে।তবে রাশিয়া এসব মানবে, তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।এখন কোনো যুদ্ধবিরতি বা শান্তি আলোচনার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তুরস্ক গত গ্রীষ্মে জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি করে খানিকটা সফলতা দেখালেও এরপর আর কিছু দেখা যাচ্ছে না।চীন মধ্যস্থতা চেষ্টা করলেও, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতার কারণে তাদেরকে সৎ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ইউক্রেইন এবং তার মিত্রদের কাছে বিবেচিত হচ্ছে না।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য