স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২১ ফেব্রুয়ারি: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভ সফরে রওনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়াকে এই সফরের পরিকল্পনা জানিয়ে দিয়েছিল ওয়াশিংটন।বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম সংঘাত এড়ানোর উদ্দেশ্যেই বাইডেনের সফরের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।সুলিভান জানিয়েছেন কয়েকমাস ধরে কিইভে বাইডেনের সফরের এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। হাতে গোণা কয়েকজন বিশিষ্ট উপদেষ্টার মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ ছিল।বাইডেনের এই সফরকে আধুনিককালের নজিরবিহীন সফর বলে অভিহিত করেছেন সুলিভান। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে এই প্রথম একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধে লিপ্ত একটি দেশের রাজধানী পরিদর্শন করেছেন, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে মার্কিন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেই।সুলিভান আরও বলেন, “আমরা রাশিয়াকে জানিয়েছিলাম যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন কিইভ সফরে যাবেন। বাইডেনের কিইভে রওনা হওয়ার কয়েকঘন্টা আগে আমরা একথা জানাই, যাতে কোনো সংঘাতের মধ্যে না পড়তে হয় বা ভুল বোঝাবুঝি না হয়।
“তাছাড়া, ইউক্রেইনের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়াটাও ছিল আরেকটি কারণ। রাশিয়াকে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কী বার্তা দিয়েছি বা তারা কীভাবে এর জবাব দিয়েছে, সেদিকে যাব না। তবে এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি যে আমরা জানিয়েছি,” বলেন সুলিভান।সিএনএন জানিয়েছে, তারা ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বাইডেনের কিইভ সফরের ব্যাপারে ক্রেমলিন এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বাইডেনের এই সফর প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইউক্রেইনকে যুদ্ধংদেহী সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। বাইডেনের কিইভ সফর রাশিয়ার সামরিক-বাহিনী পন্থিদের পাশাপাশি উগ্র জাতীয়তাবাদীদেরকেও ক্ষেপিয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।বাইডেনের ইউক্রেইন সফর রাশিয়ার জন্য মানহানিকর বলে টেলিগ্রাম চ্যানেলে মন্তব্য করেছেন এক রুশ সাংবাদিক। ওদিকে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের টেলিগ্রাম একাউন্টে বলা হয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিইভে পৌঁছার আগেই বাইডেন সেখানে পৌঁছে গেছেন।