স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২১ ফেব্রুয়ারি: তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে নতুন আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে, এর ঠিক দুই সপ্তাহ আগে আরও বড় একটি ভূমিকম্পে ওই এলাকার লাখ লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়ে ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।সোমবারের এই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪ এবং এর কেন্দ্রস্থল তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্তাকিয়ার কাছে। ভূমিকম্পটি সিরিয়া, লেবানন এবং মিশরেও অনুভূত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলোজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।এই ভূমিকম্পের পর কিছু মানুষ নতুন করে ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়েছেন, হতাইয়ের মেয়র লুৎফু সাভাস গণমাধ্যম হাবারতুর্ককে তিনি এমন খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, নতুন ভূমিকম্পে অন্তত তিনজন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
হতাই প্রদেশের উপকূলীয় শহর সামানদাগে একজন নিহত হয়েছে বলে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে। শহরটির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ফের ভূমিকম্পে আরও ভবন ধসে পড়েছে কিন্তু অধিকাংশ বাসিন্দা আগের ভূমিকম্পের পর শহর ছেড়ে চলে যাওয়ায় হতাহত তেমন হয়নি। রাতের অন্ধকারে পরিত্যক্ত রাস্তাগুলোতে লাইন ধরে বাতিল আসবাবপত্র ও ধ্বংসাবশেষের স্তূপ পড়েছিল। মুনা আল ওমর জানান, মাটি ফের কাঁপতে শুরু করার সময় তিনি আন্তাকিয়ার কেন্দ্রস্থলের একটি পার্কে তাঁবুর ভেতরে ছিলেন। নিজের ৭ বছর বয়সী ছেলেকে কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “মনে হচ্ছিল, পায়ের নিচের মাটি দুইভাগ হয়ে যাচ্ছে।”সোমবার এএফএডি জানিয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারির দুই ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১১৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ ৩৮৫০০০ অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ৪৫২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। সিরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে মৃতের সংখ্যা ১৪১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, তুরস্কের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি প্রদেশের প্রায় ২ লাখ অ্যাপার্টমেন্টে আগামী মাস থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।