স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২০ ফেব্রুয়ারি: আফগানিস্তানের সরকার বলেছে, তারা বিদেশি সামরিক বাহিনীর সাবেক কিছু ঘাঁটিকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত করবে। তালেবান ২০২১ সালের অগাস্টে ফের আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটের মোকাবেলা করছে। এর আগে দুই দশক ধরে বিদেশি সামরিক বাহিনী দেশটিতে ছিল। রোববার দেশটির অর্থনেতিক সম্পর্ক বিষয়ক অস্থায়ী উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।“শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ক্রমান্বয়ে বিদেশি বাহিনীগুলোর অবশিষ্ট সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেগুলোকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে,” বলেছেন বারাদার। রাজধানী কাবুল ও উত্তরাঞ্চলীয় বলখ প্রদেশের পরিত্যক্ত ঘাঁটিগুলো দিয়ে এ প্রকল্প শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি; তবে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি।প্রাকৃতিক গ্যাস, কপার ও বিরল মৃত্তিকাসহ আফগানিস্তান বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়। অনুমিত হিসাবগুলোতে বলা হয়েছে, দেশটিতে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের প্রাকৃতিক সম্পদ আছে।
তবে কয়েক দশক ধরে চলা অস্থিরতার কারণে এসব মজুদের প্রায় সবটাই মাটির নিচে পড়ে আছে।২০২১ সালের অগাস্টে মার্কিন সামরিক বাহিনীর শেষ ফ্লাইট কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এর মাধ্যমে দেশটিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২০ বছরের উপস্থিতি ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম লড়াইয়ের অবসান ঘটে। এই লড়াইয়ে প্রায় লাখো মানুষ নিহত ও লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সামরিক বাহিনী চলে যাওয়ার পর থেকেই দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকছে। এর পেছনের কারণগুলোর মধ্যে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক সদস্যসের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ ও অধিকাংশ বিদেশি সহায়তা স্থগিত করে রাখা অন্যতম। চলতি বছরের প্রথমদিকে তালেবান জানিয়েছিল, দেশের উত্তরাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য তারা এক চীনা কোম্পানির সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি একটি চুক্তি করেছে।বেইজিং আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, কিন্তু চীনের বেল্ট এন্ড রোড উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে চীনের উল্লেখযোগ্য স্বার্থ আছে।