স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৭ ফেব্রুয়ারি: ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের অংশবিশেষ ছেড়ে দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো শান্তি চুক্তি করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের বছরপূর্তি উপলক্ষে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিলে, তারা আরও ভূখণ্ডের জন্য ‘বারবার আসতে থাকবে’।পশ্চিমারা যত দ্রুত অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করবে, শান্তি তত দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য তার।জেলেনস্কির অনুমান, রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেইনে তাদের বসন্তকালীন আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে।“একাধিক দিক থেকে আক্রমণ করছে তারা,” বলেছেন তিনি। তবে তার বিশ্বাস, ইউক্রেইন পাল্টা আক্রমণ শুরুর আগে পর্যন্ত কিইভবাহিনী রাশিয়ার অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে রাখতে পারবে। এজন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরও বেশি অস্ত্রশস্ত্র চাইছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।“অবশ্যই, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র শান্তিকে এগিয়ে আনবে। অস্ত্রই একমাত্র ভাষা, যেটা রাশিয়া বোঝে,” বিবিসিকে বলেছেন তিনি।আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদার ও আরও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের জন্য জেলেনস্কি কয়েকদিন আগেই যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বসেছিলেন।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের কাছে যখন যুদ্ধবিমান চেয়েছিলেন, তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও বলেছিলেন, কোনো কিছুই আলোচনার বাইরে নয়।তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কিইভ পশ্চিমা অস্ত্র পৌঁছানোর গতি নিয়ে ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যু্ক্তরাজ্যসহ একাধিক পশ্চিমা দেশ তাদেরকে যুদ্ধ ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেগুলো পৌঁছাতে পৌঁছাতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো সম্প্রতি ইউক্রেইনকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, যদি একজন ইউক্রেইনীয় সেনাও তার দেশে ঢোকে, তাহলে তিনিও রাশিয়ার সঙ্গে মিলে কিইভের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন। এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, “আমার ধারণা, তারা যুদ্ধে জড়াবে না। যদি তারা জড়ায়ও, তাও আমরা লড়বো, এবং টিকে যাবো।”রাশিয়াকে ফের বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইউক্রেইনে আক্রমণের সুযোগ করে দিলে তা মিনস্কের জন্য ‘বড় ভুল’ বলেও তিনি সতর্ক করে দেন।ইউক্রেইন অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের দিকে ঝুঁকছে মন্তব্য করে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা এই পথই বেছে নিয়েছি। আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাই; ভূখণ্ডে যে কোনো ধরনের ছাড় আমাদেরকে দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করবে।”“ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কার সঙ্গে চুক্তি করবো? পুতিনের সঙ্গে? না। কেননা সেই চুক্তিতে বিশ্বাস নেই। তার সঙ্গে আলোচনা? না, সেটাতেও বিশ্বাস রাখা যাবে না,” বলেছেন তিনি।