Tuesday, January 14, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদভূমিকম্পে তুরস্ক, সিরিয়ায় মৃত্যু ৪১০০০ ছাড়াল

ভূমিকম্পে তুরস্ক, সিরিয়ায় মৃত্যু ৪১০০০ ছাড়াল

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,১৫ ফেব্রুয়ারি: চলতি শতাব্দীর অন্যতম প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোররাতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে হওয়া ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে উভয় দেশের বহু শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়, এতে লাখো মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি জীবিত বহু লোক শীতের প্রায় জমাট বাঁধা ঠাণ্ডার মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।ভূমিকম্পের পর প্রাথমিক সাড়ার সময় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান, তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেছেন, “শুধু আমাদের দেশের না, মানজাতির ইতিহাসের অন্যতম বড় এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করছি আমরা।”তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৩৫৪১৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে এরদোয়ান জানিয়েছেন। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫৮১৪ বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থার ও জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার প্রতিবেদনগুলোর বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।ভূমিকম্পের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর মঙ্গলবার তুরস্কের ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিত নয়জনকে বের করে এনেছেন উদ্ধারকারীরা। এদের মধ্যে কাহরামানমারাস প্রদেশের একটির্ অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ ও ২১ বছর বয়সী দুই ভাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর হতাই প্রদেশের রাজধানী আন্তাকিয়ার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর একজন সিরীয় পুরুষ ও এক তরুণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।এখনও উদ্ধার করার মতো আরও মানুষ জীবিত অবস্থায় আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন এক উদ্ধারকর্মী। কিন্তু জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার পর্ব শেষ হয়ে আসছে, এখন জীবিতদের আশ্রয়, খাবার ও স্কুল চালু করার দিকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।গৃহহীন বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে কোনোরকম একটু আশ্রয় ও খাবারের খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছেন। ত্রাণ প্রচেষ্টার লক্ষ্য এখন তারা।“লোকজন অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমরা একটা তাঁবু ও অন্যান্য সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই পাইনি,” বলেন সিরীয় শরণার্থী হাসান সিমা; তিনি তার পরিবার নিয়ে তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের একটি খেলার মাঠে আশ্রয় নিয়ে আছেন।দেশের যুদ্ধ থেকে পালিয়ে সিমা ও অন্যান্য সিরীয় শরণার্থীরা গাজিয়ানতেপে আশ্রয় নিয়েছিলেন, কিন্তু ভূমিকম্প এখানেও তাদের গৃহহীন করেছে। তারা ওই খেলার মাঠে প্লাস্টিকের শীট, বক্স কার্টুন ইত্যাদি দিয়ে অস্থায়ী আশ্রয় গড়ে নিয়েছেন।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক হ্যান্স হেনরি পি. ক্লুগ বলেন, “চাহিদা বিশাল, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে। উভয় দেশের প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা দরকার।“ঠাণ্ডা আবহাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি ও জঞ্জাল সাফ এবং সংক্রামক রোগের বিস্তারের মতো বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্বাস্থ্য ইস্যু দেখা দিতে থাকায় এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অরক্ষিত মানুষজন বিশেষভাবে ঝুঁকিতে আছেন।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য