Thursday, March 28, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদসিরিয়ায় ভূমিকম্প পরবর্তী ‘সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে’

সিরিয়ায় ভূমিকম্প পরবর্তী ‘সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে’

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৭ ফেব্রুয়ারি: ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, জ্বালানি স্বল্পতা ও তীব্র শীতের কারণে সিরিয়ায় ভূমিকম্প পরবর্তী সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের শীর্ষ এক কর্মকর্তা।সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ১৪০০ ছাড়িয়ে গেছে; জরুরিভিত্তিতে সহায়তা দরকার হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষের।প্রতিবেশী তুরস্কেও প্রায় ৩০০০ লোকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই ভূমিকম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের অসংখ্য মানুষকে তীব্র শীতের মধ্যে তড়িঘড়ি ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় ছুটতে বাধ্য করেছে; কয়েক বছরের বিমান ও গোলা হামলা ওই এলাকার জনগণকে এমনিতেই আতঙ্কিত ও অসংখ্য ভবনকে দুর্বল অবস্থায় ফেলে রেখেছিল। দামেস্ক থেকে ভিডিওলিংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম বিষয়ক আবাসিক সমন্বয়ক এল-মোস্তফা বেনলামলিহ বলেছেন “স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মানবিক কার্যক্রমের জন্য যেসব সড়ক ব্যবহার করতাম সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কী করে লোকজনের কাছে পৌঁছানো যায়, সেজন্য নতুন উপায় বের করতে হবে আমাদের, আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।”

সোমবার ভোররাতের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের আগেই উত্তরপশ্চিম সিরিয়ার প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশের বাইরে থেকে আসা ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল ছিল বলে অনুমান জাতিসংঘের।এই মানুষগুলোর অধিকাংশই ১২ বছর ধরে চলা যুদ্ধে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়ে এখন শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন।সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রগুলো কয়েক বছর ধরে মোটামুটি শান্ত থাকলেও দেশটির নাজুক পরিস্থিতির ওপর চাপ আরও বাড়াচ্ছে গভীর অর্থনৈতিক সংকট; জ্বালানি সংকট বাড়াচ্ছে লোডশেডিং, পাশাপাশি বঞ্চনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।যু্দ্ধ শুরুর পর থেকে যে কোনো পর্যায়ের চেয়ে দেশটিতে মানবিক ত্রাণ সহযোগিতা যে এখন অনেক অনেক বেশি দরকার তা ভূমিকম্প আঘাত হানার আগেই বলেছিল জাতিসংঘ। সিরিয়ার জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরই ত্রাণ দরকার বলে জানিয়েছিল তাদের হিসাব।“(ভূমিকম্পের পর) ওই একই লোকজন, যাদের ভোগান্তি আরও বাড়ল,” বলেছেন বেনলামলিহ।

তিনি জানান, ঘরবাড়ি হারানো অসংখ্য মানুষকে তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে জ্যাকেট ও ম্যাট্রেসের মতো জরুরি উপকরণ ছাড়াই হয় খোলা আকাশের নিচে, নাহয় গাড়িতে রাত কাটাতে হচ্ছে।জাতিসংঘ এখন সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উভয় অংশের জন্য যত দ্রুত সম্ভব ত্রাণ জোগাড়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।কিন্তু আন্তর্জাতিক সহায়তা ও তহবিলে অর্থের টানাটানিও দেখা যাচ্ছে।প্রয়োজন মেটাতে ২০২২ সালে দাতাদের কাছে চাওয়া ৪৪০ কোটি ডলারের অর্ধেকেরও কম পেয়েছে জাতিসংঘ; যদি এই ধরনের প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে সিরিয়ার সংকট থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে পড়বে, বলেছেন বেনলামলিহ। “যা আমাদের আছে, তা এখন কাজে লাগাচ্ছি আমরা। আশা করছি, স্বাভাবিক প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে যে যে ঘাটতি থাকবে, তা পূরণ করতে পারবো আমরা।“যখন আমরা প্রয়োজনীয় অর্থের ৫০ শতাংশেরও কম পাই, আমরা আসলে সব সামলাতে পারি না। সহায়তা দরকার এমন মানুষের সংখ্যা ক্রমণ বাড়ছে এবং সংকট আরও গভীর হচ্ছে,” বলেছেন তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য