স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ ডিসেম্বর। চীনের বিরুদ্ধে একাট্টা হওয়ার চেষ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা শক্তিশালী করতে আগামী সপ্তাহে ওই অঞ্চল সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্ট গড়তে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।গত জানুয়ারিতে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই প্রথম সফরে যাচ্ছেন ব্লিনকেন। সোমবার তিনি ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা সফর করবেন। এরপর মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডেও যাবেন তিনি।দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কৌশলগত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ দাবি করে সেখানেও চীন রাজনৈতিক এবং সামরিক চাপ বাড়িয়ে চলেছে।যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ কূটনীতিক ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ একটি ‘নজিরবিহীন’ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লক্ষ্য সামনে এগিয়ে নিতে কাজ করবেন ব্লিনকেন।
চীনের হম্বিতম্বির মুখে ব্লিনকেন জোর দেবেন আঞ্চলিক নিরাপত্তা অবকাঠামো শক্তিশালী করার ওপর। সেইসঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক একটি অর্থনৈতিক কর্মকাঠামো গড়ে তোলার মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা নিয়েও তিনি আলোচনা করবেন।বাইডেন প্রশাসন ‘চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তির’ রাশ টেনে ধরার চেষ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূমিকাকে গুরুত্ব সহকারে দেখে।কিন্তু ২০১৭ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে সেখানে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক কাঠামোর অভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ক্ষুন্ন হয়েছে। আর চীন সেই সুযোগে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছে।
বাইডেনের অর্থনৈতিক কাঠামোতে ঠিক কী কী থাকবে সে ব্যাপারে এখনও কিছু বলা হয়নি। তবে কূটনীতিক ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলছেন, বাণিজ্য সুবিধা, ডিজিটাল অর্থনীতি, সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা, অবকাঠামো, স্বচ্ছ জ্বালানি এবং শ্রমিকদের মানোন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হবে।