Friday, April 19, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদইউক্রেইনের কয়েকটি অঞ্চলে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন: পুতিন

ইউক্রেইনের কয়েকটি অঞ্চলে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন: পুতিন

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২০ডিসেম্বর: ইউক্রেইনের যে চারটি অঞ্চলকে মস্কো রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে সেখানকার পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে ও নতুন হুমকি মোকাবেলায় নজরদারি জোরদার করতে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  রাশিয়ায় ব্যাপকভাবে পালিত হওয়া ‘নিরাপত্তা পরিষেবা’ দিবসে পুতিন এসব মন্তব্য করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।ইউক্রেইনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়ার চালানো ধারাবাহিক ড্রোন হামলা এবং মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ উত্তরপশ্চিম দিক থেকে আক্রমণের নতুন আরেকটি ফ্রন্ট খুলে বসতে পারে, এমন আশঙ্কায় কিইভ যখন পশ্চিমা মিত্রদের আরও অস্ত্র দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে তখনই এসব কথা বললেন পুতিন। বাইরে থেকে ও দেশের ভেতরের বিশ্বাসঘাতকদের কাছ থেকে আসা ‘নতুন হুমকি’ মোকাবেলায় রাশিয়ার সমাজ ও সীমান্তগুলোতে নজরদারি জোরদার করার জন্য দেশটির ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসেসকে (এফএসবি) নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।ইউক্রেইনে আক্রমণের বিষয়টি সহজ হচ্ছে না, বিরল এই স্বীকারোক্তির পর পুতিন সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার অংশীভূত করা ইউক্রেইনের অঞ্চলগুলোর কঠিন পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করে এফএসবিকে সেখানে বসবাসরত লোকজনের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।  সোমবার রাতে পুতিন বলেন, “লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের, খেরসন ও জাপোরিজিয়া অঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।”  সেপ্টেম্বরে ক্রেমলিনের এক অনুষ্ঠানে পুতিন ইউক্রেইনের প্রায় ১৫ শতাংশ অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশীভূত করার পদক্ষেপ নেন, কিন্তু চলতি মাসের প্রথমদিকে তিনি বলেন, “যুদ্ধ লম্বা সময় ধরে চলতে পারে।”

ইউক্রেইনের ওই অংশগুলো রাশিয়ার অংশীভূত করার পুতিনের এ পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ অভিহিত করে এর নিন্দা করেছিল কিইভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা।   সোমবার পুতিন ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো বেলারুশ সফরে যান। সেখানে তিনি ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে উভয়ে দেশের মধ্যে বিরাজমান দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতার প্রশংসা করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে তারা ইউক্রেইনের নাম কমই উচ্চারণ করেছেন।সোমবার সকালে রাশিয়ার ‘কামিকাজে’ বা আত্মঘাতী ড্রোনগুলো ইউক্রেইনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোকে ফের লক্ষ্যস্থল করার পর কিইভ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্র চেয়েছে। দৈনিক রাত্রিকালীন ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোমিদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে অস্ত্র, গোলা, নতুন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা- সব দরকার আমাদের।”ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর হাই কমান্ড বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা রাশিয়ার পাঠানো ২৮টি ড্রোনের মধ্যে ২৩টিকে ভূপাতিত করেছে। অধিকাংশকেই কিইভের আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে।  এই নিয়ে গত ছয় দিনে ইউক্রেইনে তৃতীয়বারের মতো হামলা চালাল রাশিয়া। এসব হামলায় ইউক্রেইনের বৈদ্যুতিক গ্রিডকে লক্ষ্যস্থল করায় শূন্যের নিচে তাপমাত্রার প্রবল শীতের মধ্যে লাখ লাখ ইউক্রেইনীয় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থার মধ্যে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।  

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য