স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ ডিসেম্বর: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিরাপত্তা বাহিনী তিন বন্দুকধারীকে হত্যা করে একটি হোটেল হামলার অবসান ঘটিয়েছে।সোমবার সশস্ত্র ব্যক্তিরা কাবুলের কেন্দ্রস্থলে চীনা নাগরিকদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি হোটেলে হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে বলে জানায় দেশটির তালেবান নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন।এ সময় হোটেলের বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে দুই বিদেশি আহত হয় বলে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে লিখেছেন।কাবুলের শাহর-ই-নাও এলাকার হোটেলটির নিকটবর্তী ইতালির অলাভজনক একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত কাবুলস ইমার্জেন্সি হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের এখানে ২১ জন হতাহতকে নিয়ে আসা হয়েছে, এদের মধ্যে তিন জন মৃত ও ১৮ জন আহত।তালেবান সূত্রগুলো জানিয়েছে, লোনগান হোটেলে হামলাটি চালানো হয়েছে, এখানে সাধারণত চীনা ও অন্যান্য বিদেশিরা অবস্থান করে।কাবুলে অবস্থানরত এক সাংবাদিক টুইটারে কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আর রয়টার্স সেগুলো যাচাই করে দেখেছে। এসব ভিডিওতে দেখা গেছে, হোটেলটিতে আগুন জ্বলছে ও একটি তলা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে আর গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি হোটেলের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে হামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গুলির শব্দের পর তারা জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।এই হামলার একদিন আগে চীনের রাষ্ট্রদূত আফগানিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের দূতাবাসের সুরক্ষায় আরও মনোযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, একটি চীনা গেস্টহাউসের কাছে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে এবং তাদের কাবুল দূতাবাস নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।তবে দূতাবাসটি রয়টার্সের জানানো মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।গত কয়েক মাসে আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসের প্রথমদিকে পাকিস্তান দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার দূতাবাসের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) উভয় হামলার দায় স্বীকার করেছে। ২০২১ সালের অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলো আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করার পর তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখল করে; তাদের দাবি, দেশের নিরাপত্তা সংহত করতে তারা কাজ করে চলছে।