স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,১০ ডিসেম্বর: দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানদাউস’ কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি নিয়ে ভারতের তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূল অতিক্রম করছে।ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার মধরাতে এ ঘূর্ণিঝড়ের বর্ধিতাংশ যখন চেন্নাইয়ের মামাল্লাপুরমের কাছ দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসতে শুরু করে, তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটার। ঝড়ের প্রভাবে আগে থেকেই ওই এলাকায় শুরু হয়েছিল প্রবল বাতাস, সাথে তুমুল বর্ষণ। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।বাংলাদেশ থেকে মোটামুটি ১৬ শ কিলোমিটার দূরে থাকায় এ ঘূর্ণিঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান। হবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আগের মতই ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
২ নম্বর সংকেতের মানে হল, দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর এখনও ঝড়ের কবলে পড়েনি, তবে বন্দর ছেড়ে যাওয়া জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারেউত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণে নিষেধ করা হয়েছে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।চার দিন আগে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় তৈরি হওয়া একটি লঘুচাপ থেকে এ ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি। ঘূর্ণিবায়ুর ওই চক্র গভীর নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পাওয়ার পর সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এর নাম হয় ‘ম্যানদাউস’। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রস্তাব করা আরবি ভাষার এ নামের অর্থ গুপ্তধনের সিন্দুক।ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ ঝড় বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে। শনিবারের মধ্যেই তা ধীরে ধীরে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।