Friday, October 18, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদনথি ফাঁস: উইঘুর নির্যাতনে জড়িত চীনের শীর্ষ নেতারা

নথি ফাঁস: উইঘুর নির্যাতনে জড়িত চীনের শীর্ষ নেতারা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ ডিসেম্বর :  চীনে উইঘুর মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়নে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংসহ শীর্ষ নেতাদের জড়িত থাকার তথ্য ফাঁস হয়েছে নতুন প্রকাশিত এক নথিতে।বিবিসি জানায়, ফাঁস হওয়া নতুন এই নথির নাম ‘শিনজিয়াং পেপারস’। নথিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য আছে।

সেগুলো বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইঘুরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊধ্র্বতন সরকারি নেতাদের আহ্বানই তাদের ওপর দমন-পীড়নের পথ প্রশস্ত করেছে।চীনের যে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের বাস সে অঞ্চলের নামেই নথির নাম হয়েছে শিনজিয়াং পেপারস। এতে দেখা গেছে, উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট শি, প্রধানমন্ত্রী লি খাখিয়াং-সহ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য রেখেছিলেন।

তাদের সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে উইঘুর ও অন্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এই নীতিমালার মধ্যে আছে- গণহারে বন্দি করে রাখা, বন্ধ্যত্বকরণ, সংখ্যাগরিষ্ঠদের সংস্কৃতি মানতে বাধ্য করা, পুনঃশিক্ষণ এবং আটক উইঘুরদের দিয়ে জোর করে কারখানায় কাজ করানো।

নতুন ফাঁস হওয়া নথির কিছু তথ্য আগেও প্রকাশ হয়েছিল। তবে এবারের নথিতে এমন কিছু তথ্য আছে, যা আগে প্রকাশ হয়নি। এ নথিগুলো যুক্তরাজ্যে ‘উইঘুর ট্রাইব্যুনাল’ নামক স্বাধীন ট্রাইব্যুনালের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। তবে এর আগে তা পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি।নথিগুলোর সত্যতা যাচাই করতে ড. আদ্রিয়ান জেঞ্জ, ডেভিড টোবিন ও জেমস মিলওয়ার্ড নামের তিন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। নথিগুলো সম্পর্কে জেঞ্জ বলেন, এগুলো খুবই গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি।

কারণ, এসব নথিতে উইঘুর ও অন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর চীন সরকারের মনোভাব কেমন, তারা কী চেয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তীতে শিনজিয়াংয়ে কী কী ঘটেছে তা আরও বিস্তারিতভাবে বেরিয়ে এসেছে।

এর আগে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস উইঘুরদের ওপর চীন সরকারের আচরণ নিয়ে ফাঁস হওয়া কিছু নথি প্রকাশ করে। তবে তখন সেই নথিগুলোর সবটাই প্রকাশ করা হয়নি।

চীনের শিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের ওপর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আছে চীন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, বন্দিশিবিরগুলোতে উইঘুরদের ওপর ভয়ংকর নির্যাতন চালাচ্ছে চীন।

তবে চীন সরকার উইঘুরদের উপর চালানো নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ৷ উইঘুরদের আটকে রাখা নয়, বরং ক্যাম্পগুলোতে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, যা সন্ত্রাসবাদ থেকে মানুষকে দূরে রাখবে এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষতা বাড়াবে বলেই দাবি তাদের ৷

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য