ঢাকা, ২৫ অক্টোবর (হি.স.): ঠিক যেমন আশঙ্কা ছিল, তাই-ই হল। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের নানা প্রান্ত। সিত্রাং-এর তাণ্ডবে গাছ উপড়ে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। এছাড়াও অনেক জায়গায় ভেঙে পড়েছে অজস্র গাছ। প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে, এখনও পর্যন্ত ৯ জন মারা গিয়েছেন ঝড়ের তাণ্ডবে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত যত বেড়েছে, ততই বেড়েছিল তাণ্ডবের তীব্রতা।
সিত্রাং-এর প্রভাবে বাংলাদেশে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কুমিল্লায় ৩ জন, ভোলায় ২ জন, নড়াইলে ১ জন, বরগুনায় ১ জন এবং সিরাজগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দি এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বড় একটি গাছ উপড়ে পড়ে। তার জেরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বেশির ভাগ এলাকায় ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়।
উপকূল অতিক্রম করার পর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ তিনটি এয়ারলাইন্স-বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা এবং নভো এয়ার অভ্যন্তরীণ ৬টি রুটে আপ-ডাউন মিলিয়ে ৬০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। যাইহোক, সকালের সোনা রোদ উঁকি দিয়েছে খুলনার আকাশে। মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কেটে যাওয়ায় পূর্ব আকাশের মেঘকে আড়ালে ফেলে সোনালি রোদ হাসি দিয়েছে। এতে উজ্জীবিত আতঙ্কগ্রস্ত উপকূলের মানুষ।