স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,৭ অক্টোবর: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কিউবার মিসাইল সংকটের পর এ ধরনের সবচেয়ে বড় হুমকি নিয়ে আসার ঝুঁকি তৈরি করেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার হুঁশিয়ারি।পুতিন ওই পথে যাবেন কি না, ওয়াশিংটন তা ‘বোঝার চেষ্টা করছে’ বলে জানিয়েছেন তিনি।হোয়াইট হাউস বারবার বলে আসছে, পুতিন ‘পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি’ দেওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত তারা দেখেনি।কিন্তু বৃহস্পতিবার বাইডেন পরিষ্কার করেছেন, রাশিয়ার দখলদারদের বিরুদ্ধে ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী সাফল্য পেতে থাকায় পুতিন কী প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন তা বোঝার চেষ্টা করছেন ও তার ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন তিনি।নিউ ইয়র্কে ডেমোক্রেটিক পার্টির দাতাদের এক সমাবেশে বাইডেন বলেন, “কিউবার মিসাইল সংকটের পর এই প্রথম আমরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সরাসরি হুমকি পেয়েছি, যেভাবে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে যদি তা চলতে থাকে।
“কেনেডি ও কিউবার মিসাইল সংকটের পর থেকে ভাল-মন্দের শেষ যুদ্ধের সম্ভাবনার মুখোমুখি আর হইনি আমরা।”বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৬২ সালে কিউবায় সোভিয়েত মিসাইলের উপস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র ও নিকিতা ক্রুশ্চেভের নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল; এই পরিস্থিতিই কিউবার মিসাইল সংকট হিসেবে পরিচিত।বাইডেন বলেন, “তার (পুতিন) সামরিক বাহিনী, বলতে পারেন, উল্লেখযোগ্যভাবে কম দক্ষতা দেখাচ্ছে, তাই তিনি যখন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বা জীবাণু বা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা বলেন তখন তিনি কৌতুক করে বলেন না।“আমার মনে হয় না একটি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সহজে (ব্যবহার) করার দক্ষতার মতো কোনো বিষয় আছে আর তা শেষ যুদ্ধের পরিণতি ডেকে আনবে না।”বাইডেন জানান, তিনি ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে একটি কূটনৈতিক পথের সন্ধান করছেন।“পুতিন কীভাবে এখান থেকে বের হতে পারেন তা বের করার চেষ্টা করছি আমরা, তিনি কোনো উপায় খুঁজে পান কিনা? তিনি নিজেকে এমন কোনো অবস্থানে খুঁজে পান কিনা যা তিনি চাননি, শুধু মুখ দেখানোর উপায় হারাবেন না বরং রাশিয়ায় উল্লেখযোগ্য ক্ষমতাও হারাবেন,” বলেন বাইডেন।