Monday, February 10, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদথাইল্যান্ডের বন্দুক আইন ও গুলির যত ঘটনা

থাইল্যান্ডের বন্দুক আইন ও গুলির যত ঘটনা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,৭ অক্টোবর: থাইল্যান্ডে নার্সারির শিশুদের একটি দিবা যত্নকেন্দ্রে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার হামলায় ২৪ শিশুসহ অন্তত ৩৭ জনের প্রাণহানি দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম সহিংসতার ঘটনা। হামলাকারী এ হামলার পর তার নিজের স্ত্রী ও সন্তানকেও গুলি করে হত্যা করে; তারপর সে নিজেকেও গুলি করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের উত্তরপূবাঞ্চলীয় নং বুয়া লামফু প্রদেশের উথাই সাওয়ান শহরে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে। 

থাইল্যান্ডে বেপরোয়া গুলির ঘটনা খুব একটা ঘটে না। তবে দেশটিতে অতীতে বন্দুক সহিংসতার কিছু ঘটনা আছে। সেইসব ঘটনার পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বন্দুক আইন ও বন্দুক সংস্কৃতি সম্পর্কিত কিছু বিষয় সবিস্তারে তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স:

সাম্প্রতিক সময়ের কিছু গুলির ঘটনা: 

  • ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি নগরীতে এমনই এক হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছিল। সম্পত্তি সংক্রান্ত এক চুক্তি নিয়ে গোলমালে ক্ষুব্ধ একজন সেনা চারটি আলাদা জায়গায় হামলা চালিয়েছিলেন।
  • অন্তত ২৯ জনকে তিনি খুন করেন। আহত হয়েছিল ৫৭ জন। হামলার শিকার বেশিরভাগ মানুষই ঘটনার সময় একটি শপিং সেন্টারে ছিলেন। হামলাকারীকে পরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। 
  • ওই ঘটনার মাত্র ১০ দিন পরই রাজধানী ব্যাংককের একটি শপিং সেন্টারে এক ব্যক্তি তার সাবেক স্ত্রী এবং আরেকজনকে হত্যা করে। 
  • ২০২১ সালের জুনে সাবেক এক সেনা রাজধানী ব্যাংককের কাছে একটি করোনাভাইরাস ফিল্ড হাসপাতালে গুলি ছুড়লে ৫৪ বছর বয়সী এক রোগী মারা যায়। এর আগে ওই সাবেক সেনা একটি দোকানের এক কর্মচারীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। 
  • ২৩ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর ধারণা ছিল, হাসপাতালের রোগীরা মাদকাসক্ত। তিনি মাদকাসক্তদের ঘৃণা করেন বলে জানিয়েছিলেন।

বন্দুক আইন: 

  • থাইল্যান্ডে বন্দুক আইন বেশ কঠোর। দেশটিতে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করলে ১০ বছরের জেল এবং ২০ হাজার ভাট (৫৩৬ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তবে থাইল্যান্ডে বন্দুকের মালিকানা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য কিছু দেশের তুলনায় বেশি। 
  • অবৈধ অস্ত্র, যেগুলো বেশিরভাগই সংঘাতপূর্ণ দেশগুলো থেকে কেনা হয়, সেগুলো থাইল্যান্ডে সহজলভ্য। তবে গণহারে গুলি করে মানুষ মারার ঘটনা বিরল। 
  • থাইল্যান্ডে নাগরিকদের বৈধ এবং অবৈধভাবে রাখা বন্দুকের সংখ্যা ২০১৭ সালে ছিল মোট আনুমানিক ১ কোটি ৩০ লাখ, বা প্রতি ৭ জন নাগরিকের জন্য একটি। এর মধ্যে অবৈধ বন্দুকের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। 
  • `গানপলিসি ডট অরগ’ এর হিসাবমতে, ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে মানুষের মৃত্যুর বার্ষিক সংখ্যা ছিল ১,২৯২, যা এক দশক আগের ২, ৯৫৩ এর তুলনায় কম। 
  • বন্দুকের মালিকানার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে আবেদনকারীকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার প্রকৃত এবং যথাযথ কারণ দর্শাতে হয়। আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই অন্তত ২০ হতে হয়। এছাড়া, প্রথমেই আবেদনকারীর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হয়। সেক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত আচরণ কেমন, কি পরিবেশে সে বাস করে, তার আয় কেমন এবং কোনও অপরাধের রেকর্ড আছে কিনা তাও দেখা হয়। 

মানুষের মনোভাব: 

থাইরা প্রায়ই অনলাইনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কমে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ করছে এবং বলে অসছে যে, কারও কারও কাছে বন্দুক ক্ষমতা ও মান-মর্যাদার প্রতীক হিসাবে পূজনীয় হয়ে উঠেছে। কারণ, বন্দুক ব্যয়বহুল এবং তা বৈধভাবে পাওয়াও সহজ নয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য