স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ অক্টোবর : ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের কবলে তুরস্ক। তীব্র কম্পনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বহুতল। যদিও এই বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১০.৪৮ মিনিট নাগাদ পশ্চিম তুরস্কে আঘাত হানে এই ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.১।
প্রশাসনের তরফে জানা যাচ্ছে, বড় মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের বালিকেসি প্রদেশের সিন্দিরগি শহর। তবে চমকপ্রদ বিষয় হল, ভূপৃষ্ট থেকে মাত্র ৫.৯৯ কিলোমিটার (৩.৭২ মাইল) নিচে ছিল এর কেন্দ্রস্থল। ফলে এই কম্পনে কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ইস্তানবুল ও তার আশেপাশে বুরসা, মানিসা এবং ইজমির প্রদেশে একাধিক আফটার শক অনুভূত হয়। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া বলেন, কম্পনের জেরে সিন্দিরগিতে কম করে তিনটি খালি ভবন এবং একটি দোতলা বাড়ি ধসে পড়েছে। পূর্ববর্তী ভূমিকম্পের ফলে এই ভবনগুলি আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। মন্ত্রী আরও জানান, আতঙ্কের জেরে পড়ে গিয়ে দুইজন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেভাবে বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কে ভূমিকম্পের ঘটনা এই প্রথমবার নয়। ভূগর্ভের টেকটোনিক প্লেটের একটি বড় ফল্টলাইনের ওপর দেশটির অবস্থানের কারণে মাঝে মধ্যেই ভূমিকম্প হয় এখানে। গত আগস্ট মাসে সিন্দিরগিতে ৬.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। সেই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু ও বহু মানুষ আহত হন। তার আগে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালে। ৭.৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চল। ভয়াবহ সেই বিপর্যয়ে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। হাজার হাজার বাড়ি ধসে পড়ে। তুরস্কের প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

