স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ অক্টোবর : ইসলামাবাদের পর এবার মুরিদকে। সরকারবিরোধী আন্দোলন থামাতে নির্মম দমননীতি নিচ্ছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন। গত শনিবার পুলিশের গুলিতে ১১জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছিল ইসলামাবাদে। সোমবার সকালে মুরিদকেতে অন্তত ১৩জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন পুলিশের গুলিতে, এমনটাই সূত্রের খবর। দেড়শোর বেশি বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত।
পাকিস্তানের কট্টরপন্থী সংগঠন ‘তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান’ দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। ‘আমেরিকার পুতুল’ হয়ে বসে থাকা শাহবাজ শরিফ, আসিম মুনিরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছে তারা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ দমনে শুরু থেকেই কঠোর নীতি নিয়েছে পাক প্রশাসন। গত দু’দিনে ১৩ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে ইসলামাবাদে। আহত হয়েছেন রাওয়ালপিণ্ডির বহু বিক্ষোভকারী।
এবার মুরিদকেতে বড়সড় ধাক্কা খেল টিএলপি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদের উদ্দেশে মিছিল করার কথা ছিল বিক্ষোভকারীদের। তাই বেশ কয়েকটি রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সোমবার ভোরবেলা বিরাট এলাকাজুড়ে গুলিবর্ষণ করে পাঞ্জাব পুলিশ। ছোড়া হয় শেল, কাঁদানে গ্যাস। একাধিক জিনিসে আগুনও ধরিয়ে দেয় পুলিশ। বাধ্য় হয়ে পালাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে জানা যায়, অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা দেড়শোরও বেশি। এমনকি টিএলপি প্রধান সাদ রিজভির কোনও খোঁজ মিলছে না।
প্রসঙ্গত, টিএলপির অভিযোগ, আমেরিকার মদতে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। অথচ পাকিস্তান সরকার তার বিরোধিতা না করে আমেরিকার পুতুল হয়ে কাজ করছে। শাহবাজ ও মুনিরের এহেন আচরণের বিরুদ্ধেই ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয় টিএলপির তরফে। ব্যাপক জনরোষ ঠেকাতে ইসলামাবাদের রেড জোনকে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাস তো বটেই লাহোর, করাচি এবং পেশোয়ারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসগুলিতেও কড়া সতর্কতা জারি করেছে পাক সরকার। অন্যদিকে কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন করছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন।

