আর ঘণ্টাখানেকের অপেক্ষা। অযোধ্যা নগরীতে রামমন্দিরের দরজা খুলছে পুণ্যার্থীদের জন্য। গোটা শহর আধ্যাত্মিক রংয়ে রঙিন। রামলালার আগমনে সাজসাজ রব। ইতিমধ্যেই গর্ভগৃহে রামলালার নয়নাভিরাম মূর্তিতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি আট থেকে আশির মুখে। ‘মন্দির ওহি বনেগা…’, আজ, ২২ জানুয়ারি, সোমবার শেষমেশ গত কয়েক দশকের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য প্রহর গুনছেন রামভক্তরা। আর সেই অনুষ্ঠানেই কিনা উপস্থিত থাকবেন না অক্ষয় কুমার! বলিউডের একাধিক তারকা যখন রামলালাকে স্বাগত জানাতে অযোধ্যায়, তখন রামজন্মভূমিতে যাচ্ছেন না বলিউডের ‘মোদিভক্ত’ অভিনেতা?
নিন্দুক-সমালোচকদের বাঁকা কথায় তিনি মোদিভক্ত নামেই পরিচিত। গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই গেরুয়া শিবিরের প্রতি অক্ষয়ের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিকমহলে কম চর্চা হয়নি। কখনও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ অআবার কখনও বা যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে অক্ষয়ের রুদ্ধদ্বার বৈঠক, সংবাদের শিরোনামে এসেছে। এমনকী রামমন্দির তৈরির জন্য বছর দুয়েক আগেই অনুরাগীদের কাছে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। নিজের পকেট থেকেও অবশ্য একটা বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন রামমন্দির নির্মাণের কাজে। কিন্তু সেই অভিনেতাই কিনা রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য অযোধ্যায় উপস্থিত থাকছেন না!
অক্ষয় কুমার আপাতত জর্ডানে নতুন সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত। তাই রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অযোধ্যায় আসতে পারছেন না তিনি। জানা গিয়েছে, খিলাড়ি কুমার নাকি আগেভাগেই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ২২ জানুয়ারি তাঁর শুটিংয়ের কাজ রয়েছে। আগে থেকেই প্রযোজকদের সঙ্গে বসে সেই শুটিং শিডিউল ঠিক করা। কোনওমতেই সম্ভব না এদিক-ওদিক করা! ঘনিষ্ঠমহলের কথায়, কর্মই আসলে অক্ষয়ের মূল ধর্ম। তাই কোনওমতেই রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার মতো ঐতিহাসিক দিনে অযোধ্যায় হাজির হতে পারবেন না তিনি।
জর্ডান থেকেই সাতসকালে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানালেন খিলাড়ি কুমার। বললেন, “বহু অপেক্ষার পর অযোধ্যায় নিজের বাড়িতে আসছেন রাম। আজ খুব বড় একটা দিন।” পাশে টাইগার শ্রফকে নিয়ে অক্ষয় বললেন, আমাদের দুজনের তরফেই জয় শ্রীরাম।”