স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ ডিসেম্বর : প্রথম ঝলকেই ব্রাত্য বসুর ‘হুব্বা’ বুঝিয়ে দিল এই ছবি একেবারে মারকাটারি অ্যাকশনে ভরপুর। আর হবে নাই বা কেন! এই ছবিতে তো কুখ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলেরই গল্প বলেছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু। তাই অ্যাকশন ইজ মাস্ট!
নয়ের দশকের শেষভাগে হুগলি জেলায় গ্যাংস্টার হুব্বার উত্থান। অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র অধিপতি বলেই পরিচিত ছিল সে। তার শিহরন জাগানো জীবনপথ উঠে আসবে এই ছবিতে। খুন, অপহরণ, ড্রাগ পাচার ইত্যাদি নানা মামলা চলেছিল তার বিরুদ্ধে। কয়েকবার গ্রেফতার হয়েও একসময় জামিন পেয়ে যায় ঘটনাচক্রে।
২০০৫ সালে সল্টলেক থেকে গ্রেফতার হয় সে পুলিশের হাতে। সেই রোমহর্ষক ঘটনার সংবাদ আজও অনেক মানুষের মনে আছে। একসময় বহুদিন নিখোঁজ ছিল এই গ্যাংস্টার, শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালে বৈদ্যবাটির খালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই প্রতিপত্তিশালী ডনের জীবনকাহিনি ঘিরে ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন ব্রাত্য বসু ও সুপ্রতিম সরকার মিলে, ‘আবার গোয়েন্দাপীঠ’ অবলম্বনে। সুতরাং কতখানি বাস্তবছোঁয়া আর শিহরন জাগানো হবে এই ছবি আন্দাজ করাই যায়। ব্রাত্য বসু বলছেন, ‘মূলত তিরিশ বছরের জার্নি দেখানো হয়েছে।
বাঙালি গ্যাংস্টারের নির্মমতা এবং কৌতুক দুটোই আছে। নগরজীবনের সমান্তরালে শহরতলির অন্ধকার দিক ছুটে চলেছে, সেটা থাকবে ছবিতে।’ ছবির ক্যামেরার দায়িত্বে সৌমিক হালদার। কলকাতার আশপাশ, দমদম, রাজারহাট এবং হুগলি, সব মিলিয়ে প্রায় আঠাশ দিন শুটিং হয়েছে