স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৫ জানুয়ারি : ২০১৮ সালের পর রাজনৈতিক বদলি বন্ধ হয়েছে বলা মুশকিল। রবিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেই রাজনৈতিক বদলি অস্তিত্ব বর্তমান সুশাসন জামানায় রয়েছে সেটা প্রমাণ করে দিলেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। এবং সেটা মঞ্চে দাঁড়িয়ে গলা ফাটিয়ে তিনি চিৎকার করে বললেন কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে। এক প্রকার ভাবে রাষ্ট্রবাদী হতে কর্মচারীদের সতর্ক করলেন তিনি। রবিবার রাজধানীর সুকান্ত একাডেমিতে ত্রিপুরা ভেটেরিনারী ডক্টরস্ এসোসিয়েশনের দশম দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে বার্ষিক সাধারন সভার উদ্বোধন করেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ সংগঠনের নেতৃত্ব। দ্বি-বার্ষিক সাধারন সভায় আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন সফলতা ও ব্যর্থতা একে অপরের পরিপূরক। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আর সফলতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ব্যর্থতাকে মানতে হবে। চালাকি করে ব্যর্থতাকে ধামা চাপা দিয়ে দিলে হবে না। চালাকির দ্বারা কখনো মহৎ কাজ হয় না। মহৎ কাজের জন্য সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন নেতা কোন সময় ১০০ শতাংশ মানুষের পছন্দের হয়না। কিন্তু নেতাকে ৮০ শতাংশ মানুষের পছন্দের হতে হবে। কোন নেতা যদি ৬০ শতাংশ সদস্যের পছন্দ না হয়, তাহলে সেই নেতাকে পরিবর্তন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, যদি কোন পলিটিক্যাল ভাবে বদলি হয় তাহলে সেটা এসোসিয়েশনের চোখে দেখা হবে না। সেই বদলি দেখা হবে কর্মচারীর এলাকার বুথ সভাপতির চোখে। এবং সেই বুথ সভাপতি নির্ধারণ করে দেবে কে বিজেপি, কে সিপিআইএম। কারণ বুথ সভাপতি বলতে পারবে নির্বাচনের সময় সেই কর্মচারীর বাড়িতে যাওয়ার পর কি বলা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, তিনি চান সরকার যে কাজ দপ্তরের আধিকারিক এবং কর্মীদের দিয়েছে সেটা যাতে সঠিকভাবে মনের প্রানে পালন করেন তারা।
কিন্তু চায়না বিচারধারা ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না বলে কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেন তিনি। আরো বলেন, এতদিন রাজ্যে ব্যক্তির স্বার্থে রাজনীতি হয়েছে। আর যারা ব্যক্তির সাথে রাজনীতি করেছে তারা দেশের ক্ষতি পর্যন্ত করতে রাজি। আরো বলেন, এমন বিচারধারা সমর্থন করার প্রয়োজন নেই যে বিচারধারা দেশের সনাতন ধর্মকে সমর্থন না করে জজ সরোজকে সমর্থন করে। জজ সরোজ চায় কাশ্মীরকে পাকিস্তান করে দিতে। তিনি আজ দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর অ্যাডভাইজার। এবং এমন বিচারধারা সমর্থন করার প্রয়োজন নেই যে বিচারধারা ভারতের ভ্যাকসিনকে সমর্থন না করে চীনের ভ্যাকসিনকে সমর্থন করে। ২০১১ সাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত বলে দাবি করে তিনি বলেন তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক খুন সন্ত্রাস চলতো। মানুষের উপর কিভাবে নির্যাতন চলতো সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এভাবেই এদিন বিরোধীদের সমালোচনা করলেন তিনি। ত্রিপুরা ভেটেরিনারী ডক্টরস্ এসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক সাধারন সভায় সমগ্র রাজ্য থেকে সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।