স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ নভেম্বর : বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে রাজ্যের ১২৫ টি বিদ্যালয় কোন না কোন ভাবে সংবাদ মাধ্যমের শীর্ষস্থান দখল করে চলেছে। কখনো পরিকাঠামোর যথেষ্ট অভাব, আবার কখনো বিদ্যালয়ে বিষয় কেন্দ্রিক শিক্ষক নেই, আবার কখনো নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না।
সব মিলিয়ে এক প্রকার ভাবে বারোটা বেজে গেছে শিক্ষা ব্যবস্থার। এবার বিদ্যালয়ে ৭৫ শতাংশ উপস্থিত না থাকায় ৩০ জন ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সর্বাণী ভট্টাচার্যী জানান, যেহেতু এই মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতাধীন, তাই বিদ্যালয়টি সি.বি.এস.সি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত। সি.বি.এস.সি বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার শতকরা ৭৫ শতাংশ থাকতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের একাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের থেকেও নিচে।
এই মাইগঙ্গা সুকান্ত দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের আওতাধীন হওয়ার পর থেকে সি.বি.এস.সি বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম থেকেই বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকদের বিদ্যালয়ের তরফে বারবার ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার যেন ৭৫ শতাংশ থাকে এই বিষয়ে অবগত করা হলেও দুর্ভাগ্যের বিষয় একাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার একেবারেই নেই বললেই চলে। তাই এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীর বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার কম থাকায় তারা PT-2 পরীক্ষায় বসতে পারেনি। তিনি আরো জানান ছাত্র-ছাত্রীরা যখন নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিল না তখন স্কুল পরিচালন কমিটির সাথে একটি বৈঠক করা হয়। পরবর্তী সময়ে অভিভাবকদের দেখে পর্যন্ত সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু কোন গুরুত্ব না দেওয়া আজ এই সিদ্ধান্তে হল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহলের মধ্যে।