Wednesday, January 15, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদলোহিত সাগরে তেলবাহী ২ ট্যাংকারে হুতিদের হামলা

লোহিত সাগরে তেলবাহী ২ ট্যাংকারে হুতিদের হামলা

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ সেপ্টেম্বর: লোহিত সাগরে সৌদি আরবের পতাকাবাহী আমজাদ ও পানামার পতাকাবাহী ব্লু লেগুন ওয়ান নামের দু’টি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতিরা, জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।মার্কিন বাহিনী সোমবারের এই হামলাকে ‘বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অবহিত করেছে।

সোমবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে ব্লু লেগুন ট্যাংকারে হামলার দায় স্বীকার করেছে হুতি বাহিনী। তারা জানায়, ট্যাংকারটিতে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা হয়েছে। কিন্তু সৌদি ট্যাংকারটিতে হামলার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেনি তারা।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ওই দুই ট্যাংকারে দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি আত্মঘাতী ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে হুতিরা, দু’টি জাহাজেই আঘাত লেগেছে।যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিবৃতির তথ্য অনুসারে, দু’টি জাহাজই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল দিয়ে ভরা। এরমধ্যে আমজাদে আছে প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল তেল।

এসব হামলাকে ‘হুতিদের বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে বর্ণনা করেছে তারা।দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলার সময় জাহাজ দু’টি কাছাকাছি ছিল। হামলায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং কেউ হতাহত হয়নি। হামলা সত্ত্বেও জাহাজ দু’টি গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।হুতিদের হামলা অনুসরণ করতে আন্তর্জাতিক নৌ শক্তিগুলোর পরিচালিত জয়েন্ট মেরিটাইম ইনফর্মেশন সেন্টার জানিয়েছে, সোমবার ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর সালিফ থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল উত্তরপশ্চিমে ব্লু লেগুন ওয়ান ট্যাংকারে তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা হয়।

সেন্টারের মূল্যায়ন, এম/ভি ব্লু লেগুন ওয়ানে হামলার কারণ জাহাজটির মালিকানাধীন কোম্পানির অন্যান্য জাহাজ সম্প্রতি ইসরায়েলের বন্দরে নোঙর করেছিল।আমজাদের মালিক সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত গোষ্ঠী বাহরি ঘটনার বিষয়ে রয়টার্সের করা মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। এই সুপার ট্যাংকারটির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ২০ লাখ ব্যারেল।মন্তব্য নেওয়ার জন্য ব্লু লেগুন ওয়ানের গ্রিক ব্যবস্থাপক সি ট্রেড মেরিন এসসের কারও সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্যাংকার আমজাদকে সম্ভবত সরাসরি লক্ষ্যস্থল করা হয়নি।বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক সৌদি আরব সতর্কভাবে দেখছে, লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে হামলা চালাতে ছোড়া হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব ইয়েমেনের এলোমেলো এক যুদ্ধ এবং হুতিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানের সঙ্গে এক ধ্বংসাত্মক বিবাদ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় আছে।

নভেম্বরে প্রথম লোহিত সাগরের জলপথে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় হুতিরা। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলের হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা।এ পর্যন্ত তাদের চালানো ৭০টিরও বেশি হামলার ঘটনায় দু’টি জাহাজ ডুবে গেছে, একটি জাহাজ আটক করে নিয়ে গেছে তারা আর অন্তত তিনজন নাবিক নিহত হয়েছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য