Sunday, May 18, 2025
বাড়িজাতীয়শেষ পর্যায়ে উদ্ধারকাজ, ওয়েনাড়ে ৪০০ পেরোল মৃতের সংখ্যা

শেষ পর্যায়ে উদ্ধারকাজ, ওয়েনাড়ে ৪০০ পেরোল মৃতের সংখ্যা

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,    ০৬ অগস্ট ২০২৪ :-   এক রাতে জমির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল কেরলের ওয়েনাড়ের চারটি গ্রাম। পর পর ভূমিধসে নিশ্চিহ্ন গ্রামগুলি। এত দিন যেখানে ফল, ফুল, কফির বাগান ছিল, ইট-কাঠের বাড়ি শোভা পেত, সেই সব বিস্তীর্ণ এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে প্রাণের সন্ধান করছে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজ শেষ পর্যায়ে। দুর্ঘটনার আট দিন পার হলেও এখনও ইট-কাঠের নীচে চাপা পড়ে থাকা দেহ উদ্ধার করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। মঙ্গলবারও বেশ কয়েকটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে আরও কিছু দেহাংশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওয়েনাড়ের ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০৪।

শেষ পর্যায়ে উদ্ধারকারীরা ওয়েনাড়ের দুর্গম এলাকায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। এই দফায় চালিয়ার নদীর অববাহিকায় হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে দেওয়া হবে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের। তবে সেই এলাকায় উদ্ধারকাজ করতে বেশি বাহিনী প্রথমেই পাঠানো হবে না। উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষ বাহিনী। প্রয়োজনে সেখানে আরও সদস্য মোতায়েন করা হতে পারে। তবে ওই এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উদ্ধারকাজের সপ্তম দিনে ছ’টি দেহ উদ্ধার করেছে জাতীয় মোকাবিলা বাহিনী। সোমবার ৩০টি দেহ এবং ১৫০-এর বেশি দেহাংশ উদ্ধার করতে পেরেছিল তারা। ওয়েনাড়ের এডিজিপি এমআর অজিতকুমার জানিয়েছেন, তল্লাশি অভিযান শেষ পর্যায়ে। মাটির প্রায় ৫০ মিটার নীচে ধসে যাওয়া জায়গায় অনুসন্ধান চলছে। চালিয়ার নদীর অববাহিকাই এখন তাঁদের নজরে।

তিনি আরও জানান, নদীর তীরবর্তী দুর্গম এলাকায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো হচ্ছে না। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর দু’টি দল তৈরি করব। তাদের বিমানে করে ওই দুর্গম এলাকায় পাঠানো হবে। যদি তারা কোনও মৃতদেহ খুঁজে পায়, তবে তা এয়ারলিফ্ট করা হবে।’’ এর মধ্যেই দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণকর্মীদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ড্রোন। ভূমিধসের পর থেকেই কার্যত বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে ভরসা এখন ড্রোনেই। ড্রোনের সাহায্যেই উদ্ধারকারীদের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবারের প্যাকেট। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভোরে ধস নেমেছিল ওয়েনাড়ে। তার পর থেকে দক্ষিণ কেরলের জনপ্রিয় এই পর্যটন স্থলে চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!