Sunday, December 22, 2024
বাড়িখেলাফাইনালের হার এখনও হজম হচ্ছে না মিলারের

ফাইনালের হার এখনও হজম হচ্ছে না মিলারের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২ জুলাই: ফাইনালে দলের শেষ ভরসা ছিলেন এই মিলারই। একদম নাগালে থাকা ট্রফিটা তার চোখের সামনেই ক্রমে দূরে সরে গেছে। ৩০ বলে ৩০ রানের সমীকরণ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে তিনি দেখেছেন হাইনরিখ ক্লসেন, মার্কো ইয়ানসেনদের বিদায়। শেষ ওভারে যখন প্রয়োজন ১৬ রান, গোটা ড্রেসিং রুম তাকিয়ে তার দিকেই।

১৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকা মিলার শেষ ওভারের প্রথম বলটি পেলেন ফুল টস। অফ স্টাম্পের বাইরে। চোখ চকচক করে উঠল তার। সজোরে ব্যাট চালিয়ে দিলেন। কিন্তু টাইমিং হলো না শতভাগ ঠিকঠাক। তার পরও লং অফ সীমানা পেরিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সেখানে অসাধারণ দক্ষতায় তা মুঠোয় জমালেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। ব্যস, মিলার শেষ। দলের আশারও সমাপ্তি।শেষ পর্যন্ত ৭ রানের জয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ট্রফির সুবাস পেয়েও হারিয়ে ফেলে মুহ্যমান প্রোটিয়ারা।ফাইনালের পর মিলারের চোখে দেখা গেছে পানি। তার স্ত্রী, সতীর্থরা তখন চেষ্টা করেছেন সান্ত্বনা দিতে। তবে দুই দিন পরও তিনি সেই ঘোর থেকে বের হতে পারেননি, সোমবার নিজেই জানালেন সামাজিক মাধ্যমে। “আমি বিধ্বস্ত!! দুই দিন আগে যা হয়েছে, তা হজম করা কঠিন এখনও। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, কেমন লাগছে আমার…।”

শেষের ওই হতাশাকে পাশে সরালে, গোটা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাপ্তির শেষ নেই। গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার এইট ও সেমি-ফাইনাল মিলিয়ে টানা আট জয়ে তারা ফাইনালে পা রাখে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে যুগে যুগে তারকাসমৃদ্ধ অনেক দল অনেক আসরে ফেভারিট হয়েও কখনও কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি। এইডেন মার্করামের নেতৃত্বে এই দল প্রোটিয়া ক্রিকেটে ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।আক্ষেপ বুকে নিয়েই সেই অর্জনের কথা বললেন মিলার। পাশাপাশি শোনালেন আরও নতুন সীমানায় ছুটে চলার প্রতয়।“একটা ব্যাপার জানি, এই দলকে নিয়ে আমি কতটা গর্বিত। পুরো মাসের চড়াই-উতরাই মিলিয়ে এই পথচলা ছিল অবিশ্বাস্য। শেষটায় যন্ত্রণা সইতে হয়েছে আমাদের। তবে জানি, এই দলের সেই সহ্যক্ষমতা আছে এবং মানদণ্ড আরও উঁচুতে তুলে নেব আমরা।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য