Saturday, May 24, 2025
বাড়িখেলাজয়ের ‘প্রবল ক্ষুধা’ নিয়ে ফাইনালে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা

জয়ের ‘প্রবল ক্ষুধা’ নিয়ে ফাইনালে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ জুন: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের আজন্ম সেই স্বপ্ন পূরণের পথে শেষ বাধা ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শনিবার বারবাডোজে রোহিত শার্মার দলের সঙ্গে লড়বে মার্করামের দল। ম্যাচ শুরু রাত সাড়ে ৮টায়।ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এর আগে সাতবার সেমি-ফাইনাল খেলে প্রতিবারই এখান থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অনেক প্রজন্মের অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে কখনও ফাইনালের স্বাদ না পেয়েই। অবশেষে অষ্টমবারে এসে তারা সফল হয়েছে।ফাইনালে উঠতে পারাই এত বড় সাফল্য তাদের জন্য যে, সেমি-ফাইনাল জয়ের পর দলের উল্লাস, সাবেক ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া আর দেশজুড় আবেগের জোয়ার, সবকিছুইতেই ফুটে উঠছে তা। তবে সেই স্রোতে মূল লক্ষ্য ভেসে যাচ্ছে না।

ফাইনালের আগে মার্করাম পরিষ্কার করেই বললেন, স্রেফ ফাইনালে উঠেই তারা ভেসে যাচ্ছেন না। বরং ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করতে চান।“অবশ্যই সেদিন রাতে ফাইনালে ওঠার পর আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলাম এবং তা অসাধারণ। আমি নিশ্চিত, সব দলেরই এরকম মনে হয়। তবে সব কিছু শেষে ড্রেসিং রুমে ফিরে এই উপলব্ধি হয়েছে যে, আরও একটি ধাপ এগোতে হবে আমাদের।” “কোচ বা অধিনায়কের তাই তাড়না জোগানোর প্রয়োজন নেই। গোটা দলের ভেতরই তাড়নাটা আছে। ক্রীড়াবিদরা এমনিতই খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মানসিকতার হয় এবং কেউই কখনও হারতে চায় না, ফাইনালে তো নয়-ই। কাজেই দলের ভেতর তৃপ্তির কোনো অনুভূতি একদমই নেই। ফাইনালে মাঠে নামার ও জেতার প্রবল ক্ষুধা আছে সবার ভেতরই।”

আগের দলগুলির সঙ্গে এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা দলের মূল পার্থক্য মানসিকতায়। চাপের সময়টায় বারবার ভেঙে পড়ে ‘চোকার’ নামে পরিচিতি পেয়ে গেছে যারা, এই প্রোটিয়ারাই এবার অন্যরকম। সেমি-ফাইনালে আসার আগে সাত ম্যাচে মধ্যে পাঁচটিতেই প্রবল চাপের মধ্যে শেষ সময়ের স্নায়ুক্ষয়ী উত্তজনায় তারা ম্যাচ বের করে নিয়েছে।সেমি-ফাইনালে নক আউটের চাপেও তারা ভেঙে পড়েনি। বরং সবচেয়ে গোছানো, আগ্রাসী ও পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে এখানেই। দলের ভেতর বিশ্বাস তাই প্রচণ্ড পোক্ত, জানালেন অধিনায়ক।“খেলার গুরুত্বপূর্ণ যেসব মুহূর্ত ম্যাচের ফলকে প্রভাবিত করতে পারে, সেসব মুহূর্তগুলো নিজেদের করে নিতে পেরেছি আমরা। একই টুর্নামেন্টে দুইবার, তিনবার, চারবারে এটি করতে পারায় দলকে এটা এই বিশ্বাস জুগিয়েছে, আমরা যে কোনো জায়গা থেকে জিততে পারি। এই ধরনের টুর্নামেন্ট এরকম বিশ্বাস থাকাটা জরুরি।”

“এই ছেলেরা কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে খেলছে, সাদা বলের এই স্কোয়াড। অবশেষে সবাই দলের ভেতর নিজেদের ভূমিকা বুঝে উঠতে পারছে এবং এই কারণেই আমরা ছোট ছোট ব্যবধানে এবং চাপের মুহূর্তগুলায় জিততে পারছি।”সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা অবশ্য তাদের জন্য অপেক্ষায় ফাইনালেই। এই টুর্নামেন্টে অপরাজেয় আরেক দলকে তারা পাচ্ছে প্রতিপক্ষ হিসেবে। এই ভারতীয় দলের দুর্বলতা খুব একটা নেই। ম্যাচ জেতানোর ক্রিকেটার অনেক, ব্যাটে-বলে শক্তির গভীরতাও প্রচুর।ভারতের প্রতি সেই সমীহ আছে মার্করামের। তবে নিজেদের সম্ভাবনাও দারুণভাবেই দেখছেন তিনি।“আমরা সবাই জানি, দুর্দান্ত এক দল ভারত। আমরা, দক্ষিণ আফ্রিকানরা, দল হিসেবে বছর দুয়েক ধরে সঠিক পথে এগোচ্ছি। হয়তো এরকম টুর্নামেন্টে এতটা দূর আসতে পারিনি আগে। আমাদের জন্য তাই রোমাঞ্চকর উপলক্ষ এটি। প্রতিপক্ষ খুবই ভালো দল, তবে আমাদের জন্যও এটি দারুণ সুযোগ।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!