Monday, June 9, 2025
বাড়িরাজ্যবিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধান শুধু নিজ আয় উপার্জন বাড়ানোর চিন্তা করে, রাস্তা...

বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধান শুধু নিজ আয় উপার্জন বাড়ানোর চিন্তা করে, রাস্তা সংস্কার নিয়ে এ কথা বলল গ্রামবাসী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জুন : কদমতলা ব্লকের অধীন কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়ে আছে। এলাকার বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে সকলে শুধু নিজ আয় উপার্জন বাড়ানোর চিন্তা করে। তাই তাদের ধাপ্পাবাজি ভাষণ আর গ্রহণ করবে না জনগণ। যা ষ্পষ্ট হচ্ছে মানুষের বিক্ষোভ মধ্য দিয়ে। জানা যায়, ৫৪ নং কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রেটি বাম দুর্গ বলে পরিচিত, সেখানে বর্তমান বিধায়ক রয়েছেন ইসলাম উদ্দিন।

 বিধায়কের বাড়ির সামনেই রয়েছে কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার সাধারণ জনগণদের পথ চলাচলের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির ৫০০ মিটার সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসী। বিগত বাম আমল থেকে বর্তমান বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন তখন ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। পরবর্তী সময় কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমানে বিধায়ক তিনি। বিধায়ক মশাইয়ের একের পর এক পদের পরিবর্তন হলেও বাম শাসনে এই রাস্তার কোন পরিবর্তন হয়নি। ২০১৮ নির্বাচনে গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপির দখলে আসে তখনও ৫৪ কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিএম দলের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন ইসলাম উদ্দিন। পরে ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় তিনি বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা থাকায় কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত ও চার নং ওয়ার্ড এলাকার সাধারণ জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন এই রাস্তা সংস্কারের জন্য, কিন্তু কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি বিধায়ক।

২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েত যখন বিজেপি দলের দখলে আসে তখন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন সুব্রত শব্দকর। অভিযোগ ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পূর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসলে এই রাস্তা সংস্কার করা হবে। কিন্তু প্রধানের প্রতিশ্রুতি ছিল শুধু মুখেই, এখন পর্যন্ত পালনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি প্রধান। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীর। এদিকে কয়েক দিনের বিরামহীন বৃষ্টিপাতের ফলে উক্ত রাস্তাটি ভগ্নাশয় পরিণত হয়ে রয়েছে। গাড়ি, বাইক চলাচল তো দুরস্ত, পায়ে হেঁটে চলা মুসকিল হয়ে পড়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। ওয়ার্ডের বিজেপি দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন যুবেদা খাতুন এবং সিপিএম দলের প্রতিনিধি রয়েছেন তাজ উদ্দিন। উভয় দলের মেম্বাররা দেখে শুনেও না দেখার ভ্যান করে চলছে বলে অভিযোগ। তবে সম্প্রতি ভোট বয়কট করার হুঁশিয়ারি চারদিক থেকে উঠে আসছে। রাস্তার উন্নয়ন নিয়ে ধাপ্পাবাজি ভাষণ আর গ্রহণ করছে না জনগণ। যা বারংবার ষ্পষ্ট হচ্ছে মানুষের বিক্ষোভ মধ্য দিয়ে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!