স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ মে : কর্মসংস্থানের অভাব, পানীয় জলের সংকট, বেহাল বিদ্যুৎ পরিষেবা ও বেহাল রাস্তাঘাট সহ সব ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার রাজ্যে তীব্র সংকট তৈরি করেছে। রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি করছে মানুষ, কাজ নেই খাদ্য নেই।
মানুষ অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছে। এর জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। অপরদিকে বর্তমান বেহাল বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। বিদ্যুতের চরম যন্ত্রণায় মানুষ ভুগছে। কারণ তীব্র গরমের মধ্যেও যখন তখন চলছে লোডসেডিং। অপরদিকে ফিডকো নামে এক বিদ্যুৎ সংস্থার চরম উদাসীনতার কারণে সাব্রুমে এক যুবকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ নিগম বর্তমানে ক্ষতির মুখে পড়েছে। কোন এক সময় এই বিদ্যুৎ নিগম রাজ্যে লাভের চলছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের জন্য শত শত টাকা দেনা হয়ে এ লাভজনক সংস্থা আজ দেনার দায়ে ডুবে গেছে। আরে দায়ভার জনগণের উপর চাপাচ্ছে সরকার। সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে আরো বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম আজ আকাশ ছোঁয়া।
তাই রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী বেফাস মন্তব্য করার জন্য যেমন খ্যাতি অর্জন করেছে তেমনি পত্রিকায় ছবি ছাপানো এবং বিভিন্ন পোস্টারে নিজের ছবি ছাপানোর জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন খাদ্য ও জনসংভরন দপ্তরের মন্ত্রী। দুই মন্ত্রীর এ ধরনের কার্যকলাপের মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের এ ধরনের কার্যকলাপে দেশবাসী আজ সংকল্প নিয়েছে দেশ থেকে বিজেপি সরকারকে হঠাতে। চার জুনের পর দেশে থাকবে না আর বিজেপি সরকার। তিনি আরো বলেন রাজ্যে সার্বিক দিক দিয়ে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নৈতিক দায়িত্ব ইতিমধ্যে পদত্যাগ করার। তাই কংগ্রেস ইতিমধ্যে জনমত সংগ্রহ করতে মাঠে নামবে বলে জানান তিনি।