স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ অক্টোবর : তৃণমূল কংগ্রেসে ১০৩ পরিবারের ৩৬৬ ভোটার যোগদান করলো। রবিবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ ক্যাম্পে যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় কর্মীদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহবায়ক সুবল ভৌমিক। তিনি বলেন ধারাবাহিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে। রবিবার ৩৬৬ জনজাতি ভোটার বিদ্যামোহন চাকমার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র জাতি জনজাতি দের আশ্রয় স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে আরো বিরোধীদলের এবং শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবে বলে জানান তিনি।
তবে তিনি এদিন রাজ্য কর্মচারীদের প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যে এমন বিচিত্র পূর্ণ অবস্থায় সরকারি কর্মচারিরা ধন্যবাদ রেলি সংগঠিত করছে। কিসের ধন্যবাদ রেলি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন সাড়ে তিন বছরেও সরকার সরকারি কর্মচারীদের ২৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করে নি। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের অর্ধেক বেতনও পাচ্ছে না রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। তারপরও সরকার বলছে আর রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের নাকি সপ্তম পে কমিশন প্রদান করা হয়েছে। অফিসে অফিসে গিয়ে ধন্যবাদ রেলিতে আসার জন্য সরকারি কর্মচারীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই এটা ধন্যবাদ রেলি নয়, একটা শোষণে রেলি। যে কর্মচারিদের হাড় ভেঙে দেবে বলছে দলের বিধায়ক, সেই সরকারকেই আবার ধন্যবাদ জানাতে চলেছে সরকারি কর্মচারিরা। একটা হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছুই নয়।
এবং সরকারি কর্মচারিদের বোনাস বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে রটানো হচ্ছে। আসলে সরকারি কর্মচারীদের ২০ হাজার টাকা করে ধার দেওয়া হচ্ছে। হাড় ভাঙা কঙ্কাল হয়ে গেছে, এখন তারা ধন্যবাদ জানাতে চাইছে। তাই এ ধরনের ধন্যবাদ রেলি তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি। তিনি আরো বলেন বর্তমানে দেশে এবং রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ের অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। তার উপর দিয়ে সরকার পেট্রোল ডিজেল এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে। এবং চলতি বছর শারদ উৎসবে প্রাকমুহুর্তে কোন ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে না গরিব অংশের মানুষদের। সরকারের এ ধরনের ভূমিকা তীব্র নিন্দা জনক বলে জানান তিনি। তিনি দাবি জানান সরকার যাতে অবিলম্বে মানুষের সহযোগিতা জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়।