Monday, June 9, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদযুদ্ধ বিরতির ষষ্ঠদিনে আরো ১৬ জিম্মি ও৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি

যুদ্ধ বিরতির ষষ্ঠদিনে আরো ১৬ জিম্মি ও৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ নভেম্বর: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির দ্বিতীয় বা চূড়ান্ত দিনে গাজা থেকে আরো ১৬ জিম্মি মুক্তি পেয়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি মিলেছে আরো ৩০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির।এদিন অবরুদ্ধ গাজায় আরো বেশ কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।জিম্মি মুক্তি এবং গাজায় ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার থেকে গাজায় ‘মানবিক’ বিরতি শুরু হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাস প্রথমে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়। ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল হামাস ইসরায়েল থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জিম্মিদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল সে দেশে কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি গাজায় ত্রাণ বিতরণ করতে দেবে।আন্তর্জাতিক চাপ এবং আরো অধিক জিম্মি ও বন্দি মুক্তির কথা বিবেচনা করে উভয়পক্ষ ‘মানবিক’ বিরতির মেয়াদ আরো দুই দিন বাড়াতে সম্মত হয়। বৃহস্পতিবার ছিল বাড়ানো মেয়াদের দ্বিতীয় বা শেষ দিন।

বৃহস্পতিবার মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের মধ্যে ১০ জন ইসরায়েলি, দুই জন ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত রুশ নাগরিক এবং চারজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। হামাস তাদের আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রসের হাতে তুলে দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েল যে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে ১৬ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১৪ জন নারী বলে জানিয়েছে কাতার।এদিকে গত ৭ অক্টোবরের পর বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের মত তেল আবিব সফরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।যুক্তরাষ্ট্র আরো জিম্মি মুক্তি এবং গাজায় আরো ত্রাণ প্রবেশের জন্য এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো বাড়াতে চায় বলে তিনি ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের বলেছেন।গাজায় ত্রাণ সহায়তায় সমন্বয়ের বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রধান প্রধান সংস্থার অংশগ্রহণে জর্ডান বৃহস্পতিবার একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে।গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে এক নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। তাদের এই হামলার ব্যাপকতা সবাইকে হতবাক করে দেয় এবং সাধারণ ইসরায়েলিরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। এই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে এবং তাদের অধিকাংশই বেসামরিক বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ওই দিন প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে হামাস।

হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে প্রায় সবদিক থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গোলা হামলায় ১৫ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এদের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু।গাজায় ৪৮ দিন ধরে ইসরায়েলের অবিরাম হামলা চালানোর পর কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় চার দিনের কথিত ‘মানবিক’ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। গত ২৪ নভেম্বর থেকে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজায় শুরু হওয়া অস্থায়ী এই যুদ্ধবিরতি ২৭ নভেম্বর (সোমাবার) শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাতারের মধ্যস্থতায় মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়াতে রাজি হয় ইসরায়েল ও হামাস। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও এতে সমর্থন জানায়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!