স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ নভেম্বর : মেডিকেল অফিসারের চরম সঙ্কট রয়েছে। তা স্বীকার করলেন আই জি এম হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ সুপ্রিয় মল্লিক। সিকিউরিটি গার্ড এবং চিকিৎসকদের চরম গাফিলতির কারণে শুক্রবার রাতে রাজধানীর চন্দ্রপুর এলাকার শামু মিয়া নামে এক বৃদ্ধের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ স্যন্দন পত্রিকায় এবং স্যন্দন টিভিতে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। রবিবার দীপাবলি সকালেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ সুপ্রিয় মল্লিক ছুটে যান হাসপাতালে।
তিনি হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন খবরের কাগজে দেখেছেন সিকিউরিটি গার্ডের গাফিলতির কারণে একজন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ। তারপর বিষয়টি নিয়ে সিস নামে সিকিউরিটি গার্ড সংস্কার আধিকারিকের সাথে কথা বলেছেন। এই কোম্পানি যাতে আগামী দিনে আইজিএম হাসপাতালে আর কাজ করতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এই সংস্থা থেকে সঠিকভাবে সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে হাসপাতালে যে দুজন ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্বে রয়েছেন তারা দেখভালের ক্ষেত্রে চরম গাফিলতি করছেন। কারণ বিগত দিনে হাসপাতালে কুড়িটি এ.সি পাইপ চুরি হয়েছে। জি প্লাস টু -বিল্ডিং -এ ২০ দিন ধরে ও.টি বন্ধ আছে। এই খবরটি নেই স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তার কাছে সেটা তিনি স্বীকার করেছেন এদিন। কিন্তু কি কারণে ওটি বন্ধ হয়ে আছে সে বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি আরো বলেন, ১০৪০ জন মেডিকেল অফিসার স্পেশালিস্ট হিসেবে রয়েছে।
এর মধ্যে ২০০ জন বিভিন্ন লিভে রয়েছে, বাকি ২০০ জন রয়েছে স্পেশালিস্ট করছে। যার ফলে ৬০০ জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। তিনি বলেন পি এস সিগুলির মধ্যে চিকিৎসক দেওয়া যাচ্ছে না। মেডিকেল অফিসারে চরম সংকট সৃষ্টি হয়ে আছে। আর বিশেষ করে রানীরবাজার, নরসিংগড় এবং মোহনপুরে তীব্র সংকট হয়ে আসছে মেডিকেল অফিসারের। রাজ্যের দ্বিতীয় রাফেলেন হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মেডিকেল অফিসার থাকার পরেও ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত দুর্বল হয়ে থাকায় সঠিকভাবে পরিচালনা মিলছে না সেটা স্বীকার করে নিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
তিনি বলেন হাসপাতালে পরিষেবা সঠিক জায়গায় আনতে যারা ম্যানেজমেন্ট দুর্বল করে রেখেছে সেই সব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতালে মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট দেবশ্রী দেববর্মন সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে দ্রুত তিনি বৈঠকে বসবেন বলে জানান। তবে পরিদর্শনের সময় বহু ত্রুটি পরিলক্ষিত করেছেন তিনি। জানা যায় মোট ৫০ টি ত্রুটি স্বাস্থ্য অধিকর্তার নজরে এসেছে। এগুলো নিয়ে দ্রুত সরকারের সাথেও কথা বলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি।