Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যমুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বাম পরিষদীয় দল

মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বাম পরিষদীয় দল

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ এপ্রিল : ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে। সন্ত্রাস জারি রয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যে ভাবে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল, অনুরুপ ভাবে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস শুরু হয়ে যায়।

 নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে শুরু হওয়া সন্ত্রাস কিছুতেই যেন থামতে চাইছে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বাড়ি ঘরে হামলার পাশাপাশি চলছে চাঁদা বাজির ঘটনা। সাব্রুম থেকে চোরাইবাড়ি সর্বত্র চলছে সন্ত্রাস। রাবার বাগানে আগুন লাগানো, মানুষের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায়, বাড়ি ঘর ভাংচুর, কর্মক্ষেত্রে বাধা দান, দোকান বন্ধ করে দেওয়া সহ প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে নানান ঘটনা। সাব্রুম, চুরাইবাড়ি, উদয়পুর ইত্যাদি স্থানে যানবাহন নিয়ে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের কর্মীদের বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে, জোলাইবাড়ি, ঋষ্যমুখ, খোয়াই ইত্যাদি স্থানে বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি থেকে বের হতে বাধা দান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিছু কিছু স্থানে এই সকল ঘটনার সাথে সরাসরি নাম জরিয়ে রয়েছে শাসক দলের একাংশ অতুৎসাহী কর্মীর।

অবশেষে এই সকল ঘটনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হল বামফ্রন্টের এক প্রতিনিধি দল। এইদিন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নেতৃত্বে বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, প্রাক্তন বিধায়ক পবিত্র কর, প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার সরকারী বাসভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। রাজ্য জুড়ে চলা সন্ত্রাসের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করেন। এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ-এর পর সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান রাজ্য জুড়ে চলা সন্ত্রাসের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে তোলা অভিযোগ শাসক দলের পক্ষ থেকে বারে বারে অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস হচ্ছে না তা অস্বীকার করার নয়। কারন কিছু কিছু ঘটনা ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই সকল ঘটনা রুখতে সরকারের পাশাপাশি শাসক দলকেও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যারা দলের নাম ভারিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধে শাসক দল কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দলের জন্য এইটা ভালো হবে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য