Tuesday, December 3, 2024
বাড়িরাজ্যশপিং মল বন্ধ করতে অভিযানে নামল সদর মহকুমা প্রশাসক

শপিং মল বন্ধ করতে অভিযানে নামল সদর মহকুমা প্রশাসক

স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৩০ জুন।

সংবাদের জেরে শেষবেলায় হুশ ফিরল সদর মহকুমা প্রশাসনের। করোনা কারফিউ’তে শপিং মল বন্ধ করতে লোক দেখানো অভিযানের নামল সদর মহকুমা প্রশাসন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ পশ্চিম জেলায় তেজী রূপ ধারণ করে আছে। সংক্রমণে গতির রুখতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত আগরতলা পুর নিগম এলাকায় বলবৎ করেছে করোনা কারফিউ। কারফিউর সময়ে সরকারি নির্দেশ মেনে কেবল মাত্র জরুরি দোকানগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই সমস্ত দোকান খোলা রাখাতে পারবে দোকান মালিকেরা। বাকী সমস্ত দোকানপাট, শপিং মল বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। আগরতলা পুর নিগম এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার ঠেকাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যায় প্রথম এবং দ্বিতীয় করোনা কারফিউ পর্বের পর বেশ কয়েকটি শপিং মল আচমকা খুলে বসে আছে দীর্ঘ পনের থেকে কুড়ি দিন যাবত। রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। সদর মহকুমা প্রশাসনের নজরে আসলেও এতদিন শপিং মল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্যন্দন পত্রিকা এ বিষয়ে একাধিকবার খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু শেষ বেলায় এসে কুম্ভ নিদ্রা ভাঙ্গল সদর মহকুমা প্রশাসনের। বুধবার সদর মহকুমার চারজন ডিসিএম মিলে আগরতলায় অভিযান চালায়। আচমকা শপিং মল খোলার বিষয়ে জানতে চান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। কিন্তু কোন সঠিক সদুত্তর পাওয়া যায় নি শপিং মলগুলির দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে। বরং শপিং মল কর্তৃপক্ষ বলে ওঠে দীর্ঘদিন ধরে তারা শপিং মল খোলা রেখে আসছে, কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়নি। আচমকা বুধবার সকালে কেন অভিযান চালানো হচ্ছে। এবং বাকি সমস্ত শপিংমল খোলা রয়েছে বলেই তারাও খোলা রেখেছে বলে জবাব দেয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। অবশেষে শপিং মলগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের দল।

একই সঙ্গে তাদের সদর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে দেখা করার কথা বলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। পরে সদর ডি সি এম বিঙ্কি সাহা জানান পুলিশের সহায়তায় ডি সি এম -রা অভিযান চালায়। সরকারী নির্দেশ অমান্য করে বেশ কিছু শপিং মল খোলা রাখা হয়েছে। সেই সমস্ত শপিং মলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মোট ৪ টি শপিং মল এদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপাতত তাদের কোন জরিমানা করা হয়নি। কেবল কাগজ পত্র নিয়ে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সঠিক কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। যাদের শপিং মল খোলা রয়েছে তাদের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সদর ডি সি এম বিঙ্কি সাহা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো দীর্ঘ দিন যাবত তারা সরকারি নির্দেশিকা লংঘন করে আসছিল, কিন্তু প্রশাসন কেন তাদের জরিমানা করল না তা নিয়ে জনমনে উঠে প্রশ্ন। যা হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়ায় শহরবাসীর কাছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য