স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৩০ জুন।
১৮৫৫ সালে ৩০ জুন বাংলা, বিহার ও ঝাড়খন্ডের অন্তর্গত তৎকালীন সাঁওতাল পরগনায় সাঁওতাল, মুন্ড অংশের মানুষ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর ভূমি রাজস্ব আইন এবং শোষণ অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। এই আন্দোলন হুল বিদ্রোহ নামে খ্যাত। এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন সিধু, কানু, চাঁদ সহ অন্যান্যরা। ১৮৫৭ সালে যা মহাবিদ্রোহের আকার ধারন করে। যা সিপাহী বিদ্রোহ নামে সকলে চেনে। এই সাঁওতাল বিদ্রোহের শহিদদের স্মরণে বুধবার জেলা ও মহকুমা সদরে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিন সিপিএম পশ্চিম জেলা কার্যালয়ের সামনে সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির উদ্যোগে ১৫৬ তম হুল দিবস পালন করা হয়। শ্রদ্ধা জানান সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর, শ্রমিক নেতা শঙ্কর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্যরা। এদিন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের পর সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর বলেন, তৎকালীন সময়ে ইংরেজরা যেমন শোষণ করেছিল ঠিক তেমনি নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানুষকে শোষণ করে চলেছে। কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিতে তিনটি কৃষি আইন পাস করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ইতিমধ্যে ৫২০ জন আন্দোলনরত কৃষকের মৃত্যু হয়েছে দিল্লিতে। শ্রমিকদের শ্রম কোড ৪৪ টি থেকে মাত্র চারটি করা হয়েছে। তাই এই শোষনের বিরুদ্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের দিনে শপথ নিতে আহ্বান জানান তিনি।