Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যতপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির বিক্ষোভ

তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির বিক্ষোভ

স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ৩০ জুন।

গত ২৭ জুন রাজনগরে দলীয় কর্মসূচি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির রাজ্য কমিটির সাধারন সম্পাদক তথা বিধায়ক সূধন দাস সহ বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতা কর্মী ও বিধায়কের স্ত্রী। শাসক দলের দুষ্কৃতিদের আঘাতে বিধায়কের মাথা ফেটে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাজধানীতে মিছিল ও বিক্ষোভ সভা করল ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির রাজ্য কমিটি। এদিন প্রতীবাদ মিছিলটি শহরের প্যারাডাইস চৌমুহনী, পোস্ট অফিস চৌমুহনী এবং অরিয়েন্ট চৌমুহনী সহ বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। পরে সিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক রতন ভৌমিক বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই রাজ্যে গনতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকবে। বিভিন্ন দল তাঁর গনতান্ত্রিক কাজ কর্ম করতে পারবে। অন্যথায় হবে না। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। রাজ্যপালের আশ্বাস দেওয়ার পরেও বিরোধীরা আক্রান্ত হচ্ছে। জন প্রতিনিধিরা কাজ করতে পারছে না। আক্রান্ত হয়েছেন বিধায়ক শুধন দাস। এই ঘটনাগুলির পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করে বিনা কারণে বামপন্থী কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। এরও প্রতিবাদ জানানো হয় এদিন। রাজনৈতিক সন্ত্রাস অব্যাহত। সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। নয়তো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি শাসক দল বিজেপি উদ্দেশ্যে। এদিকে ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির সহ-সভাপতি বলেন, গত তিন বছরে রাজ্যের গণতন্ত্র পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। গণতন্ত্র নেই বললেই চলে। রাজ্যের বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস করছে শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে জানানো হয়েছে। এবং উনাকে বলা হয়েছে যাতে সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। কারণ উদ্বেগের বিষয় হলো পূর্বে যখন রাজ্যের সিপিআইএমের সরকার ছিল তখন এই ধরনের সন্ত্রাস বিরোধীদের উপর করা হয়নি। বিরোধীরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করতে পারে। তার জন্য বিরোধীদের উপর এই ধরনের সন্ত্রাস রাজ্যে মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাস শুধু বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরে সীমাবদ্ধ নয়। সন্ত্রাস সাধারণ মানুষ এবং সাংবাদিকদের উপরও আছড়ে পড়ছে। তাই সন্ত্রাস বন্ধ করতে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে দাবি জানানো হয় বলে জানান তিনি। এদিন শাসকদল বিজেপি’কে ধিক্কার জানিয়ে শহরে এক প্রকার বামেদের শক্তির মহড়া বলা যায়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য