স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ১০ সেপ্টেম্বর : সোমবারই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির জন্য জারি করা হয়েছিল নির্দেশিকা। উদ্বেগ বাড়িয়ে সোমবারই মিলল প্রথম আক্রান্তের হদিশ। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আফ্রিয়ার দেশ থেকে সদ্য ভারতে ফেরা এক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে। গত রবিবার সন্দেহভাজন ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যায়, তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত।
সম্প্রতি বিদেশফেরত এক যুবকের দেহে মিলেছিল মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ। যে দেশ থেকে তিনি ভারতে ফিরেছেন, সেদেশে যথেষ্ট ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্সের জীবাণু। এই পরিস্থিতিতে বিদেশফেরত যুবকের দেহে মাঙ্কিপক্সের জীবাণু রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠিয়ে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল যুবককে। সোমবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই জানা যায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন ওই যুবক। কেন্দ্র জানিয়েছেন, ওই যুবকের পরিচয় গোপন রাখার পাশাপাশি তাঁকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে ওই যুবকের শরীরে বিপজ্জনক সংক্রামক ‘স্ট্রেন’ নেই। বর্তমানে রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
এদিকে বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যেই অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, এই অসুখের সংক্রমণ রুখতে নজরদারিতে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি আরও বেশি করে টেস্টিং চালিয়ে যেতে হবে। যদিও সরকার এখনই মাঙ্কিপক্সকে ভারতের জন্য বিপদ হিসেবে দেখতে রাজি নয় সরকার। তবে সতর্কতায় কোনও খামতি রাখতে রাজি নয় কেন্দ্র। বাইরে থেকে আসা কারও শরীরে সংক্রমণের ইঙ্গিত পাওয়া গেলে তাঁকে আইসোলেশনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানান, বাইরে থেকে যারা আসছেন আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে দেশ পুরোদমে তৈরি।
উল্লেখ্য, গত মাসেই মাঙ্কিপক্সের কারণে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ বা ‘হু’। ২০২২ সালেও একবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সেবার ভারতে ৩০ জনের শরীরে সংক্রমণের হদিশ মিলেছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসেও মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় দেশে। সব মিলিয়ে বেশ সতর্ক ভারত সরকার। হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১১৬টি দেশে ৯৯ হাজার ১৭৬ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ২০৮ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ নেয়। এ বছর তা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।