স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৭ সেপ্টেম্বর ।। শরীরের অসুখ চেনা গেলেও মনের অসুখ ধরা দায়! গভীরে মননে লুকিয়ে থাকা বেদনায় প্রায় প্রত্যেকেই ভুগছেন। মানসিক অবসাদ বাসা বাঁধছে। গোটা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে মানসিক অবসাদ। আর তাতে প্রতিনিয়ত ডুবে যাচ্ছেন মানুষ। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ ‘হু’। যেখানে বলা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ ‘মেন্টাল হেলথ ডিসঅর্ডারে’ ভুগছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রত্যেক সাতজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগছেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিন্তা এবং অবসাদ ঘিরে ধরছে মানুষকে। এই সংক্রান্ত দুটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একটির নাম ‘ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেল্থ টুডে’ এবং দ্বিতীয়টি হল ‘মেন্টাল হেল্থ অ্যাটলাস ২০২৪’। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে এই ‘অসুখ’ আরও ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যে নাগরিক মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে একাধিক নীতি তৈরি করেছে। বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ফল কি মিলছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রিপোর্ট বলছে, অবসাদ এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে।
তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। বিশ্বে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। রিপোর্ট আরও বলছে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো সমস্যাও বাড়ছে। প্রায় ২০০ জনের মধ্যে একজন এবং ১৫০ জনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক এই সমস্যায় ভুগছেন। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে। তথ্য বলছে, এই অসুখের শুরুটা ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়। করোনা মহামারী গোটা বিশ্বকে গ্রাস করে। অর্থনীতি থেকে একাধিক ইস্যুতে মানুষের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে। কেউ চাকরি হারিয়েছেন তো কেউ আবার নিজের কাছের মানুষকে হারিয়েছেন।
সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাতেও আমূল বদল এসেছে। যার ফলে ক্রমশ মানসিক চাপ বেড়েছে। সেই কারণেই এই মানসিক অবসাদ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে।

