স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৫ ফেব্রুয়ারি : টাটা মোটরসের জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে নিযুক্ত হলেন প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটার তরুণ ‘বন্ধু’ শান্তনু নায়ডু। প্রয়াত শিল্পপতির জীবনের শেষ পর্যায়ে ম্যানেজার এবং কার্যত ‘ছায়াসঙ্গী’ ছিলেন তিনি। এমনকি, রতন টাটার উইলেও তাঁর উল্লেখ করা হয়েছিল। মাত্র ৩২ বছর বয়সে টাটা মোটরসের এই গুরুদায়িত্ব পেলেন তিনি।
সম্প্রতি লিঙ্কডিনে টাটা সংস্থায় নিজেই এই গুরু দায়িত্ব পাওয়ার কথা জানিয়েছেন শান্তনু। তাঁকে এ বার টাটা মোটরসের জেনারেল ম্যানেজার তথা ‘হেড অফ স্টস্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভস’ হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সংস্থার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সংযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মনে আছে যখন বাবা টাটা মোটরস প্ল্যান্ট থেকে তাঁর সাদা শার্ট এবং নেভি প্যান্ট পরে বাড়ি ফিরতেন এবং আমি জানালায় দাঁড়িয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতাম। একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।’ সঙ্গে প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটার অন্যতম ‘প্রিয় উদ্যোগ’-এর ফসল ন্যানো গাড়ির সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেছেন শান্তনু। এক সময় টাটা এলেক্সিতে কাজ করতেন তিনি। রতন টাটার হাসপাতালে ভর্তি থেকে শেষকৃত্য, সর্বত্র দেখা গিয়েছিল তাঁর অসমবয়সি সমমনস্ক শান্তনুকে।
রতন টাটা আর শান্তনু নাইডুর বন্ধুত্বের সমীকরণ আসলে পশুপ্রেম। কুকুর-বিড়ালদের প্রতি সহমর্মিতাই উভয়কে কাছাকাছি এনেছিল। ২০১৪ সালে প্রথম দেখা হয় দু’জনের। শান্তনু পথকুকুরদের গাড়ি চাপা পড়া থেকে রক্ষা করার বিষয়ে উদ্যোগী হন। যা নজরে আসে রতনের। তিনি শান্তনুকে তাঁর হয়ে কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। কাজ করতে করতে সম্পর্ক গভীর হয়। কয়েক বছরের মধ্যে রতন টাটার ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন শান্তনু।
উল্লেখ্য, পুণের বাসিন্দা শান্তনু নাইডু। পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। টাটাদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের পুরনো জানাশোনা থাকলেও শান্তনুর পরিবারের কেউ কখনও রতন টাটার সঙ্গে সরাসরি কাজ করেননি। শান্তনু টাটা এলেক্সিতে কাজ শুরু করেন এক জন জুনিয়র ডিজাইনার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। সেবার দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে রাস্তার কুকুরদের জন্য আলো জ্বলা কলার বানানোর সিদ্ধান্ত নেন শান্তনু। ‘মোটোপজ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও তৈরি করেন। টাটার নিউজলেটারে জায়গা করে নেয় ঘটনাটি। যা নজরে পড়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান রতন টাটারও।