Monday, February 17, 2025
বাড়িশীর্ষ সংবাদকেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নিয়ে তালবাহানা, অফিসে তালা দিল প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নিয়ে তালবাহানা, অফিসে তালা দিল প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ জুন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সার্টিফিকেট এবং স্টাইপেন্ড প্রদান করা হচ্ছে না। চলছে নানা তালবাহানা। এর প্রতিবাদে শুক্রবার আমতলী বাইপাস স্থিত স্কিল ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী কৌশল কেন্দ্রে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা। এদিন তাদের সঙ্গ দিয়েছে যারা ট্রেইনার রয়েছে তারাও। কারণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মতো ট্রেইনারাও দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। জানা যায়, কেন্দ্রীয় এ প্রকল্প নিয়ে বাইপাসে অবস্থিত এই স্কিল ইন্ডিয়া অফিসে চলছে নৈরাজ্য। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সময় মতো যেমন স্টাইপেন্ড প্রদান করা হয় না, তেমনি সার্টিফিকেটও দেওয়া হচ্ছে না। অপরদিকে যারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা সঠিক সময়ের মতো বেতন পাচ্ছে না।

অভিযোগ গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে মেয়েদের সেলাই কাজ এবং ছেলেদের কাঠের কাজ করানোর জন্য কোর্স করানো হয়। কোর্স করানোর সময় প্রায় দিন তাদের সঠিক মত প্রশিক্ষণের ক্লাস না করিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতেন ইনচার্জ। প্রশিক্ষণ দেওয়ার আগে কথা ছিল দৈনিক সাতশ টাকা, এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। কিন্তু দু’মাস গড়ে তিন মাস হবে চললেও এখন পর্যন্ত তাদের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়নি। অপরদিকে যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছিল তাদের অভিযোগ দৈনিক সাতশ টাকা করে মজুরি দেওয়ার কথা থাকলো তাদের এখন পর্যন্ত কোন টাকায় দেওয়া হয়নি। টাকা চাইলে বিভিন্নভাবে দুর্ব্যবহার করা হয় তাদের।

 শুক্রবার অফিসে তালা দেওয়ার আগে ইনচার্জ সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের ফোন করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেনি। তাই আন্দোলন সংগঠিত করতে বাধ্য হয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এবং যারা প্রশিক্ষণ দিতে এসেছে তারাও। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ আন্দোলন সংঘটিত হলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কোন আধিকারিক এবং ইনচার্জ। শেষ পর্যন্ত তালা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসে বঞ্চিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। তারা জানিয়ে দেয় যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের এই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অফিস তালা থাকবে। কারণ নিজের পকেটে টাকা ব্যয় করে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের চরম উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে আগরতলা শহরের বুকে থাকা এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলির মধ্যে চলছে নৈরাজ্য। এর খোঁজ খবর পর্যন্ত নেওয়া হয় না দপ্তরের পক্ষ থেকে। সুখের খবর যারা প্রশিক্ষণ দেওয়ার টেন্ডার গ্রহণ করেন তারা দপ্তরের কয়েকজনের সাথে মিলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অর্থ গিলে খাচ্ছে। এ বিষয়ে অবগত রয়েছে দপ্তরের উপমহল পর্যন্ত।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য