স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ন্যারামেক ও সিমফেডের উদ্যোগে এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আগরতলা রেল স্টেশন থেকে রেল যোগে ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা হলো ৬০০ কেজি আনারস। এই আনারস রেল যোগে পৌঁছাবে গুয়াহাটিতে। সেখান থেকে বিমানে করে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আনারস রওনা হবে ওমানে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগরতলা রেল স্টেশনে ফ্লেগ অফ এর মধ্য দিয়ে এর সূচনা করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ। আনুষ্ঠানিক সূচনার পর কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন আগামী কিছুদিনের মধ্যে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে আরো পাঁচ টন আনারস রপ্তানির জন্য রওনা হতে চলেছে।
হল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে ৩০ মেট্রিক টন আনারস রপ্তানির। গত ৫ বছরে দেশের বাইরে আনারস রপ্তানি হয়েছে ৩৩ মেট্রিক টন। রপ্তানি হয়েছে দুবাই কাতার এবং বাংলাদেশেও। আর রাজ্যের বাইরে আনারস রপ্তানি হয়েছে ১২ হাজার ৫৫১ মেট্রিক টন। মন্ত্রী বলেন রাজ্যের বাজারে আনারস চাষীরা একটি আনারস ১৫ থেকে ১৮ টাকায় পাচ্ছে। কিন্তু বিদেশের বাজারে চাষিরা আনারস বিক্রি করতে গিয়ে সমস্ত খরচ বহন করে প্রতি আনারস ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি করতে পারছে। মন্ত্রী আরো বলেন ২০১৮র আগে রাজ্যে পাঁচ বছরে আনারস চাষ করা হয়েছিল ৫৯৫ হেক্টর জমিতে। আর বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গত সাড়ে পাঁচ বছরে ৫ হাজার ৬৫৪ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা যাতে স্থানীয় বাজার থেকে বেশি মূল্য পেতে পারে এর জন্যই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।
কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ এ দিন আরো জানিয়েছেন কৃষকদের উৎপাদিত কাঁঠাল, তেতুল, পান রাজ্য এবং দেশের বাইরে রপ্তানি হয়েছে। আগামী দিনেও এ ধরনের আনারস কাঁঠাল তেঁতুল পান বিদেশের বাজারে রপ্তানি করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি দাবি করেছেন এই রপ্তানির ফলে কৃষকরা নাকি অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছেন। এইদিন ৬০০ কেজি আনারস রেলে করে নিয়ে যাওয়া হবে গৌহাটি। সেখান থেকে বিমানে করে ওমানে নিয়ে যাওয়া হবে এই আনারস। আনারস ছাড়াও রাজ্যের কাঁঠাল বাইরে গেছে ৪.৪ মেট্রিক টন। বেল ২ হাজার ৫০৭ মেট্রিক টন, তেতুল ৩৯৭ মেট্রিক টন, আদা ৩২ মেট্রিক টন বিদেসে গেছে। এমনকি রাজ্যের উৎপাদিত পানও বিদেসে রপ্তানি করা হয়েছে। রাজ্যের কৃষকদের উৎপাদিত সামগ্রী যেন দেশ বিদেসে রপ্তানি করতে পারে তার জন্য ইতিপূর্বে দিল্লি ও বানারসে বায়ার সেলার মিট করা হয়েছে। ২০ জুন ইন্দোরে বায়ার সেলার মিট করা হবে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।