Wednesday, March 26, 2025
বাড়িরাজ্যএফ এম ডি বা খুরা পীরা রোগের গন টিকাকরণ কর্মসূচি

এফ এম ডি বা খুরা পীরা রোগের গন টিকাকরণ কর্মসূচি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জুলাই : কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় প্রাণী রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প রূপায়ণে সমগ্র রাজ্যে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২১ জুলাই থেকে শুরু হয় ৪৫ দিন ব্যাপী এফ এম ডি বা খুরা পীরা রোগের গন টিকাকরণ কর্মসূচি। সব ধরনের গবাদি পশুদের এফ এম ডি টিকা দেওয়া হবে। সকল প্রাণী পালকদের স্ব স্ব গবাদি পশুদের নিয়ে নিকটবর্তী টিকা প্রদান কেন্দ্রে এসে টিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। টিকা করনের সময় কানের দুল পরিয়ে নিবন্ধীকরণ আবশ্যক।

 বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। এই রোগ মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৭ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে। বড় পশু গুলির টিকাকরণ বাবদ ২৬ টাকা এবং ছোট পশু গুলির টিকাকরণ বাবদ ১১ টাকা দেওয়া হবে। এই টিকাকরনের ফলে দেশ ও দেশবাসীর লাভ হবে। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে জানান তিনি। পশুপালকদের আর্থিক বিকাশের নিশ্চয়তা রয়েছে। সুবিধা গুলি কিভাবে আরও বেশী করে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া যায় তার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রায় সাত লক্ষ ৪৬ হাজার ১৬২ টি  গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগল , শূকর জাতীয় পশু রয়েছে রাজ্যে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ৬২৩ টি পশুদের টিকা করণ করা হয়েছে। এই সমস্ত পশু গুলির মধ্যে ট্যাগ লাগানো আবশ্যক। এর মধ্যে টিকাকরনের বছর, নাম্বার ও মালিকের নাম থাকবে। সার্বিক ভাবে দেশের পশুদের চিহ্নিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪৫ দিন ধরে চলবে দ্বিতীয় ধাপের টিকাকরণ। আগামী ৫ বছর পর্যায় ক্রমে টিকা প্রদান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। ২০ হাজার কোটি টাকার দুধ এবং ৫৪ হাজার কোটি টাকার মাংস রপ্তানী হত প্রতিবছর ভারত থেকে। একটা সময় সেই সমস্ত দেশ ভারতবর্ষ থেকে দুধ ও মাংস রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে। এর কারন খুরা পীরা রোগ। এতে আর্থিক লাভের উপর প্রভাব পড়ে। লোকসান হয় পশু পালকদের। সেই দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এই টিকাকরণ পক্রিয়ার সূচনা করেন। 

ছাত্র ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড ১৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। বাকী রাজ্য গুলির পরিসংখ্যান নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। পশু পালন দপ্তরের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৭৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪২ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে এবং ৩৫ জনকে সুপার ভাইজার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। ১৭৯ জনকে টি আর ডি পদে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। দেশে ৮০ শতাংশ মানুষ পশুপালনের সাথে যুক্ত। দেশের আর্থিক বিকাশ হবে বলে জানান তিনি। এর মাধ্যমে দেশের বড় মাত্রায় মানুষ আর্থিকভাবে উপকৃত হয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য