স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৭ আগস্ট : খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা আরো একবার স্পষ্ট হলো রবিবার। দল থেকে বহিষ্কার করা হলো এলাকার যুব মোর্চার সভাপতি মান্না দে -কে। কাগজে-কলমে সিলমোহর পড়েছিল দু মাস আগে। দলের প্রকাশ করতে সময় লাগলো দু মাস ২৪ দিন। তার কিছু কার্যকলাপ গত কয়েক মাস ধরেই দলের নজরে ছিল। যা দলের নেতৃত্বের মাথা ভারী করেছে। অতিষ্ঠ হয়ে গেছে যুব মোর্চার এই মন্ডল সভাপতি কার্যকলাপে। রবিবার সামাজিক মাধ্যমে দলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় মান্না দে তার ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করছেন, এবং আরও কিছু ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, যা একজন রাজনৈতিক কর্মীর ক্ষেত্রে অনুচিত, অগ্রহণযোগ্য এবং দলীয় শৃঙ্খলা ও নীতিমালার পরিপন্থী। এই ধরনের আচরণ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে এবং জনমানসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আপনাকে পূর্বে একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু আপনি তা অগ্রাহ্য করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপ চালিয়ে গেছেন।অতএব, ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতির নির্দেশক্রমে তাকে অবিলম্বে ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে বহিষ্কার করছে। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে। একই সঙ্গে সমস্ত দলীয় পদ ও দায়িত্ব থেকে মুক্ত করা হলো।
এখন থেকে দলীয় নাম, প্রতীক অথবা মঞ্চ কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারবে না এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার কোনো অধিকার নেই। এদিকে বিবৃতিতে প্রকাশের পর, স্থানীয় মহল থেকে সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে মান্না দে’র মতো লোকেরা রতন চক্রবর্তীর সম্পদ। দল থেকে মান্না দে’কে বহিষ্কার করা হয়েছে গত ২৪ মে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এই ঘোষণা জনমানসে প্রকাশ করতে সময় লাগল দুইমাস চব্বিশ দিন। কার ইন্ধনে দুইমাস চব্বিশদিন আটকে রাখা হয়েছিল মান্না দে’কে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণাপত্র? মান্না দে’কে দল থেকে বহিষ্কার করলে কার লুটবানিজ্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা খয়েরপুরের প্রতিটি সাধারণ মানুষ খুব ভালোই জানে। তাই আটকে রাখা হয়েছিল। এদিকে সামাজিক মাধ্যমে নিজের একাউন্ট থেকে মান্না দে জানান, অনেক বড় চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তিনি। কিছু মানুষের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য সত্য মিথ্যা যাচাই না করে ব্যক্তিগত জীবনকে নিয়ে একের পর এক চক্রান্তে শামিল হয়েছেন। দলকে অনেকটা ভালোবাসেন, তাই দলের প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। আবার সকলের কাছে আবেদন জানান আর কোন ব্যক্তি অন্যের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এইরকম প্রতারণার শিকার যেন না হয়। পাশাপাশি আরো জানিয়েছেন, সামাজিক কাজকর্ম আগামী দিনেও চলবে। তবে রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মুখে মুখে সমালোচনা গোটা বিধানসভায় চলছে লুট বাণিজ্য। বণিক্য চৌমুহনিকে কাজে লাগিয়ে এবার দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই ঝামেলা বাড়ছে। এক গোষ্ঠীর মধ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পুরনো মাফিয়া গোষ্ঠী। যারা প্রত্যেক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করছে।

