স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১২ আগস্ট : পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ভিত্তিক হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের সামনে থেকে এক সুবিশাল তিরঙ্গা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্র শত বার্ষিকী ভবনের সামনে সারা শহর পরিক্রমা করে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিলের অগ্রভাগে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়, মন্ত্রী সুধাংশু দাস, বিধায়িকা মিনা রানী সরকার, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। মিছিল শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে বক্তব্য রেখে বলেন, জাতীয় পতাকা দেশবাসীর গর্ব। জাতীয় পতাকা দ্বারা দেশাত্মবোধ জাগ্রত হয়।
দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব জাতীয় পতাকার মর্যাদা এবং সম্মান রক্ষা করা। এই ত্রিবর্ণ রচিত জাতীয় পতাকা গৌরব, রাষ্ট্রবাদী, চেতনা, দেশপ্রেম এবং মহান আত্মত্যাগের ঐতিহ্য। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি রাজ্যে নেওয়া হয়েছে। তিন পর্যায়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যে। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রতি ঘরে যাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিন পর্যায়ে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ২ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এই তিন পর্যায়ের কর্মসূচি হবে। ২ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচীতে সামিল করানো হয়েছে। ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট দ্বিতীয় পর্যায়ে তিরঙ্গা মেলা ও তিরঙ্গা কন্সার্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ১৩ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সরকারের এই কর্মসূচি যাতে সাফল্যমন্ডিত করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশের সার্বভৌমত্ব, একতা সংহতি এবং দেশপ্রেমে মহান আদর্শকে উর্ধ্বে তুলে দেওয়া যায় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে বড় মাত্রায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।

