স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ জুলাই : বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার, কমেছে নমুনা পরীক্ষা। অস্বস্তিতে ফেলছে সংক্রমণ। ২৪ ঘন্টায় ৭১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে সংক্রমিত আরো ১০৩ জন। পশ্চিম জেলায় সংক্রমিত ৬৮ জন, সিপাহীজেলা জেলায় সংক্রমিত ৬ জন, খোয়াই জেলায় সংক্রমিত ৫ জন, গোমতী জেলায় সংক্রমিত ৯ জন, দক্ষিণ জেলায় সংক্রমিত ৫ জন, ধলাই জালায় সংক্রমিত ৮ জন, ঊনকোটি জেলায় সংক্রমিত ১ জন, উত্তর জেলায় সংক্রমিত ১ জন।
সংক্রমনের হার ১৪.৪৫ শতাংশ। তবে আশ্চর্য বিষয় হলো ২৪ ঘন্টায় সংক্রমনের হার যেমন অনেকটাই বেড়েছে, তেমনি সুস্থতা হার তুলনামূলক কমেছে। নতুন করে সুস্থ হয়েছে মাত্র ২৬ জন। সুস্থতা হার ৯৭.৭১ শতাংশ। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,৩৫৯ জন। কিন্তু নতুন করে মৃত্যু হয়নি কারোর। সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের বুলেটিন এই পরিসংখ্যান জানানো হয়েছে। তবে উদ্বেগ জনক ভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। মানুষের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার হার কম হওয়া চিন্তার কারণ। পশ্চিম জেলার সংক্রমণের হার অনেক বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনকে কোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল রাজ্যের জনবহুল এলাকা বাজার হাট, অফিস আদালত সহ বিভিন্ন স্থানে গণহারে নমুনা পরীক্ষা করা হবে। যাতে সংক্রমণ দ্রুত শনাক্ত হয়। যারা সংক্রমণ নিয়ে ঘরে বসে আছে কিন্তু নমুনা পরীক্ষা করা বিষয়ে আতঙ্কে ভুগছে, তাদেরও দ্রুত শনাক্ত করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে গণহারে সংক্রমণ সনাক্ত করতে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষ করে নমুনা পরীক্ষার হার কম হওয়ায় সনাক্ত কম হচ্ছে বলে ধারণা সচেতন মহলের। পশ্চিম জেলার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভেরিয়ান্ট নিয়ে। কোন ভেরিয়ান্টের কারণ এভাবে সংক্রমণ মাথা চাড়া দিচ্ছে তা জানা নেই সচেতন মহলের। এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে রুগীর ভিড়। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত তিন বছরে এখন পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ১,০০,০৭৯ জন রোগী। মৃত্যু হয়েছে ৯২১ জনের।