স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুলাই : ত্রিপুরায় বুথ পর্যায়ে শক্তিবৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়েই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের পা রাখা রাজধানী আগরতলায়। শুক্রবার বিকেলে তিনি যান আগরতলা পুর নিগমের কার্যালয়ে। মেয়র দীপক মজুমদার সহ ডেপুটি মেয়র এবং করপোরেটরদের পাশাপাশি ছিলেন টি আই ডি সি এর চেয়ারম্যান টিংকু রায় , রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক কিশোর বর্মণ প্রমুখ।
সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই মত বিনিময় অনুষ্ঠানকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান হিসেবে ব্যখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে প্রথম বারের মতো তাঁর ত্রিপুরায় আসা। ত্রিপুরা ছোট রাজ্য। ভারতীয় জনতা পার্টি এখানে সরকার গঠন করেছে। সংসদেও বিজেপির প্রতিনিধি রয়েছেন। পুর পরিষদ এবং পুরনিগমেও ভাজপার জয়জয় কার । যার সুফল ভোগ করছে ত্রিপুরাবাসী। বক্তব্য রাখতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর বাক বর্শায় বঙ্গ তৃণমূলকে তূলোধূনো করে ছাড়েন। বলেন , কাটমানির পয়সায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা ত্রিপুরায় এসে উপনির্বাচনী প্রচার গেয়ে যায়। কিন্তু ত্রিপুরার মানুষ এর যোগ্য জবাব দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দিকে কোনো রকম নজর নেই তৃণমূলের।সুন্দরবন বণ্যায় ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিটি মুহুর্তে । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কোনো রকম হেলদোল নেই।
তিনি আরো বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা গনতন্ত্রের কথা বলে গনতন্ত্রের ই সুনাম নষ্ট করছেন। সংসদের নিয়ম ভঙ্গ করে বাইরে বসে ধর্না দেন । ছবিও তোলেন। কিন্তু জেনে রাখা ভালো সংসদ গনতন্ত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করার জায়গা। ধর্না দেওয়া কিংবা ছবি তোলার জায়গা নয়। কিন্তু বিরোধীরা এভাবেই সংসদে গনতন্ত্রের সুনাম নষ্ট করে চলেছে। আর পশ্চিমবঙ্গের কলেজ স্কোয়ারে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। যাতে এখানে বিজেপি কোনো ধরনের আন্দোলন করতে না পারে। অথচ এই কলেজ স্কোয়ারই হচ্ছে আন্দোলন করার জায়গা। টিপ্পনি মেরে তিনি বলেন যেমন দল তেমন তাঁর সংস্কৃতি। দিলীপ ঘোষের রাজ্যে আসা ত্রিপুরার ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের কতটা উজ্জীবিত করতে পারে , এনিয়ে রাজনীতির পরিমন্ডলে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।