আগরতলা, ১৪ জুলাই (হি.স.) : প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে মিত্রতার সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৭৫০ কেজি কিউ প্রজাতির আনারস পাঠিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে গত চার বছরে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আনারস পাঠিয়েছে ত্রিপুরা। তবে এবারই সবেচেয়ে বেশি পরিমাণে ফল পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে ত্রিপুরার হর্টিকালচার দফতরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধির কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আনারস তুলে দিয়েছে। কিউ প্রজাতির আনারসের ত্রিপুরায় ভীষণ চাহিদা রয়েছে। দেশীয় বাজারেও এই আনারস খ্যাতি অর্জন করেছে। অতীতে বাংলাদেশে এই আনারস ত্রিপুরা থেকে প্রচুর পরিমাণে রফতানি হয়েছে। কিন্তু সে দেশেও আনারস চাষে উদ্যোগী হওয়ায় ২০১৮ সালের পর থেকে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।ত্রিপুরা হর্টিকালচার দফতরের সহ-অধিকর্তা ড. দীপক বৈদ্য এদিন বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশে ১০০ বাক্সে ৭৫০ কেজি ওজনের কিউ প্রজাতির আনারস পাঠিয়েছি। তাঁর দাবি, ত্রিপুরার সর্বোচ্চ গুণমানের কুইন প্রজাতির আনারস পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনারস পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে চেয়েছেন। তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তাঁর কথায়, কুইন প্রজাতির আনারস থেকে কিউ প্রজাতির আনারস অনেকটাই ভারী হয় ওজনে। কিন্তু স্বাদে এবং গুণমানে দুই প্রজাতির আনারস প্রায় একই। তিনি বলেন, ত্রিপুরা থেকে আনারস দুবাই এবং কাতার পাঠানো হয়েছে। সেখানে দারুণ সাড়া মিলেছে। এমন-কি, দেশীয় বাজারেও ত্রিপুরার আনারসের ভীষণ চাহিদা রয়েছে।তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার আনারসের প্রচার শুরু করার সাথে সাথে এই ফলের চাহিদা দারুণভাবে বেড়ে গেছে। তাতে, আনারস চাষিরা ভীষণ উপকৃত হচ্ছেন। কারণ, তাঁরা উৎপাদিত ফলের অধিক মূল্য পাচ্ছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আনারস পাঠানোর এ মুহূর্তে ত্রিপুরা সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই।
তাঁর কথায়, ২০১৮ সালের আগে বাংলাদেশে ত্রিপুরা থেকে আনারস রফতানি করা হয়েছে। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ এখন নিজেরাই আনারস ফলন করছে। তবে চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে পুনরায় ত্রিপুরা থেকে আনারস রফতানির ব্যবস্থা হবে, আশা প্রকাশ করে বলেন তিনি।এদিন বাংলাদেশ হাইকমিশন, ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের অধিকারিকগণ এবং ত্রিপুরার হর্টিকালচার দফতরের আধিকারিকরা এ উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮০০ কেজি আম্রপালি আম ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাকে উপহার স্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। দুই দেশের মধ্যে এভাবে উপহারের আদান-প্রদানে নিশ্চিতভাবে সৌভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক আরও মধুর বানাবে।