স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জুলাই : নির্বাচনী হাওয়া না থাকলেও দুর্বৃত্তরা ময়দান গরম রাখতে প্রতি নিয়ত সন্ত্রাস হামলা হুজতির ঘটনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর কায়েম করে রেখেছে। প্রদেশ কংগ্রেসের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার বিশালগড় জেলা কংগ্রেসের কার্যকর্তাদের নিয়ে এক কর্মসূচি ছিল বিশ্রামগঞ্জে। সেই সভা বানচাল করতে শাসক দল বিজেপি এই হামলার ঘটনার সংগঠিত করেছে বলে অভিযোগ করলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা। তিনি জানান, এদিন নির্ধারিত সময়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচি শেষ মুহূর্তে বিজেপি কার্যালয় থেকে লাঠি সাটা নিয়ে দুর্বৃত্তরা এসে প্রকাশ্যে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদিকা জারিতা লাইফ্রাং এবং প্রাক্তন বিধায়ক আশিষ কুমার সাহার গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ প্রাক্তন বিধায়ক আশিষ কুমার সাহার। পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ছুটে আসে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুলিশ আধিকারিককে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক আশিষ কুমার সাহা। তিনি জানান এই দিনের ঘটনা তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল। রাজ্যের আইনজীবীদের সাথে কথা বলে বিশ্রামগঞ্জ থানায় একটি সুনির্দিষ্ট মামলা করা হবে। যারা এ ধরনের ঘটনা সংগঠিত করেছে তাদের ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হবে। যাতে পুলিশ তাদের সনাক্ত করে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করে। তিনি আরো বলেন এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দা জনক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসক দল বিজেপি কংগ্রেসকে রুখতে এ ধরনের সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু কোন লাভ হবে না। মানুষ কংগ্রেসের হাত মজবুত করতে এগিয়ে আসছে। আরো বলেন যে কর্মসূচিতে ছিল তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কার্যকর্তাদের নিয়ে এই সভা সংগঠিত করা হয়। সবগুলি জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি সংঘটিত হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদিকা জারিতা লাইফ্রাং অভিযোগ করেন পুলিশের সামনে শাসক দলের দুর্বৃত্তরা এ ধরনের হামলা করেছে। পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যখন রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশককে ফোন করা হয়েছে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আরো বলেন, বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। গণতন্ত্র হত্যা করে চলছে। তাই এই সরকারকে উৎখাত করা ছাড়া আর কোন বিকল্প রাস্তা নেই বলে জানান তিনি।