স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জুলাই : ডিএনএ ক্লাব হওয়ার পর বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তার থেকে সরকার অনুভব করেছে আরো ডি এন এ ক্লাব বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ডি এন এ ক্লাবকে সাহায্য করার জন্য নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ডি এন এ ক্লাবগুলি সাইনবোর্ডে ক্লাব হলে চলবে না। জনগণের টাকায় এই ডি এন এ ক্লাব তৈরি করা হয়। তাই ডি এন এ ক্লাবের আউট পুট থাকতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুর্খাবস্তিস্থিত ত্রিপুরা ষ্টেট পলিউশান কন্ট্রোল বোর্ডের কনফারেন্স হলে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করে এই কথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। স্কুল স্তরে ডি এন এ ক্লাব তৈরির বিষয়ে এইদিনের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ডিএনএ ক্লাব প্রকল্পে আরও ৩০ টি বিদ্যালয়কে যুক্ত করা হয়েছে। আগে রাজ্যের ৫২ টি বিদ্যালয় এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিল। এই প্রকল্পের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি নির্বাচিত বিদ্যালয়কে ল্যাবরেটরি, যন্ত্রপাতি ক্রয় করা এবং বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা, কুইজ ইত্যাদির জন্য আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক নির্বাচিত স্কুলের একজন বিজ্ঞান শিক্ষক এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকেন। এইদিন ডি এন এ ক্লাব বিষয়ক প্রশিক্ষণ শিবিরে নির্বাচিত ৩০ টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন ছারাও উপস্থিত ছিলেন বায়ু টেকনোলজিক কাউন্সিলের সচিব ডক্টর প্রদীপ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। এইদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রথম পর্যায়ে ১২ টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হাতে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।