Wednesday, March 19, 2025
বাড়িরাজ্যসংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করল প্রশাসন

সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করল প্রশাসন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জুলাই : ৪ জুলাই থেকে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ জুলাই থেকে সরকারি অফিস, স্কুল, বাজার হাট, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, যানবাহন সর্বত্রে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি অফিস, স্কুল, বাজারে অধিক হারে নমুনা পরীক্ষা করা হবে।

 আগামী এক সপ্তাহ করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকবে প্রশাসনের। সোমবার সি এম ও অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান ষ্টেট সার্ভিলেন্স অফিসার ডাক্তার দ্বীপ দেববর্মা। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে সংক্রমণ মারাত্মক রূপ ধারণ করবে। বিগত বছরও সংক্রমনের কেন্দ্রবিন্দু পশ্চিম জেলা। তারপর রয়েছে সিপাহীজলা জেলা। রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ১৩১ জন সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পশ্চিম জেলার সংক্রামিত রোগী সংখ্যা ৮২ জন। সিপাহীজলা জেলায় ৩১ জন রোগী, গোমতী জেলা ১০ জন, দক্ষিণ জেলায় ৪ জন, ঊনকোটি জেলায় ৪ জন। এর মধ্যে রাজ্যে তিনজন ১০ বছরের শিশু রয়েছে।

এ জি এম সি -তে চিকিৎসাধীন ৬ জন রোগী। হোম আইসোলেশনে রয়েছে ১২৫ জন রোগী। সংক্রমিত আশঙ্কা জনক রোগীদের চিকিৎসার জন্য এ জি এম সি -র মধ্যে ২৩১ টি শয্যা রয়েছে। যাদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাত পা ব্যথা এবং দুর্বলতার লক্ষণ রয়েছে তাদের অতিসত্বর নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কারণ এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে যারা নমুনা পরীক্ষা করছে তাদের অধিকাংশের পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। তাই সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তর এবং রাজ্যের মুখ্য সচিবের দুটি বৈঠক কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি আগামী এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে থাকবে। যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পাশাপাশি আরো বলেন রাজ্যে খারচি পূজা শুরু হওয়ার আগে সংক্রমনের এত বারবারান্ত ছিল না। যার ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেমন কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে যে গতিতে সংক্রমণ এগোচ্ছে তাতে আশঙ্কা চতুর্থ ঢেউয়ের। বিশেষ করে বর্তমানে যে ১৩১ জন রোগী রয়েছে তাদের মধ্যে ৮ জনের ট্র্যাবেল হিস্টি রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছে ৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৭৪ জন , তৃতীয় ডোজ নিয়েছে ২ জন এবং ১১ জন কোন টিকা নেয়নি। তারপরও করোনা চোখ রাঙাচ্ছে। সুতরাং সংক্রমণ রাজ্যের মধ্যে বিস্তার লাভ করছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের আশঙ্কা। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো ৩৭ জন করোনা পরিক্ষা করে চলে যায়। যে ফোন নম্বর দিয়ে গেছে, সেটা ভুল নম্বর। যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি বলে জানান মাইক্রো বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক তপন মজুমদার। তবে ৩৭ জনকে খুঁজে বের করার জন্য কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে কোনো আশ্বাস রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে দিতে পারেন নি আধিকারিকেরা। পাশাপাশি রাজ্যে বর্তমানে যে পরিমাণে সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে, তার জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি, উৎসব পার্বন রুখতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে উল্লেখ করে নি। কিন্তু তাতে ঝুঁকি আরো অনেক বেশি বাড়াতে পারে বলে অভিমত সচেতন মহলের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য